ছবি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অবসারপ্রাপ্ত মেজর সিনহার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথের মামলা আমলে নেয়নি কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ।
ছবি বিকৃত করে ফেইসবুকে শিপ্রার ব্যক্তিগত ছবি পোস্টকারী দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ অজ্ঞাত প্রায় দেড়শ জনের বিরুদ্ধে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে যান শিপ্রা। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও আইনজীবী মাহবুবুল আলম টিপুকে সাথে নিয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় যান শিপ্রা। এ সময় কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান ঘটনাস্থল রামু থানা ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলার পরামর্শ দিয়েছেন।
থানা থেকে বের হয়ে শিপ্রার আইনজীবী মাহাবুবুল আলম টিপু গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, মেজর সিনহার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথকে পুলিশ আটক করার পরে ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভসহ বিভিন্ন ডিভাইস নিয়ে যায় পুলিশ। এগুলো থেকে শিপ্রা দেবনাথের ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও আপত্তিকরভাবে এডিট করে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশ করেছে। ব্যক্তি চরিত্র হনন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করায় শিপ্রা দেবনাথের মান ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই শিপ্রা দেবনাথ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করতে আসেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান ঘটনাস্থল হিমছড়ি হওয়ায় রামু থানা ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলার পরামর্শ দিয়েছেন।
আইনজীবী মাহাবুবুল আলম টিপু জানান, চিহ্নিত ফেসবুক আইডি পিবিআই পুলিশ ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও সাতক্ষীরা জেলার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানসহ প্রায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করবেন শিপ্রা। থানা মামলা না নিলেও আদালতের আশ্রয় নেয়া হবে।
এবিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি খায়রুজ্জামান বলেন, যে কোন ব্যক্তি মামলা করার অধিকার সংরক্ষণ করেন। তবে ঘটনাস্থল কক্সবাজার সদর মডেল থানার আওতাধীন না হওয়ায় মামলাটি গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোষ্টে ৩১ জুলাই রাত ৯টার দিকে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহযোগি শিপ্রা দেবনাথ। ওইদিন ঘটনাস্থলে শিপ্রা না থাকলেও আরেক সহযোগি সিফাত ছিলেন। তবে হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে তাদের রুমে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে মাদক উদ্ধারের অভিযোগে রামু থানায় শিপ্রার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলা থেকে জামিনে মুক্তি পান শিপ্রা দেবনাথ।