Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে স্বস্তির সংবাদ

Advertisements

দেশে গত ১৭ মাস যাবৎ সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশগুলোতেও করোনা আঘাত করলেও সেখানে নানা বিকল্প ব্যবস্থায় প্রায় পূর্ণমাত্রায় টিকিয়ে রাখা হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। আমাদের দেশেও রাজধানীসহ জেলা শহরগুলোতে অনলাইনের মাধ্যমে মোটামুটি চলছে। কিন্তু প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক সামর্থ্যের অভাবে বিরাট সংখ্যক গ্রামীণ জনপদ শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে। সবমিলিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ইতিহাসের এক নজিরবিহীন সময় পার করছে।
এর মধ্যে আজকে এসেছে একটি সুসংবাদ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন: স্কুল খুলতে পারলে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হবে। সেপ্টেম্বরে খুলতে পারার প্রস্তুতিও আছে, অক্টোবরে খুলতে পারার প্রস্তুতিও আছে। তবে করোনা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক থাকলে গতবারের মতো মূল্যায়ন করা হবে। উল্লেখ্য গতবার পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ওপরের ক্লাসে ওঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। প্রতিমন্ত্রী আরও জানান: তাঁরা চাইছেন তাড়াতাড়ি স্কুল খুলে দিতে। প্রধানমন্ত্রী দুটি সভায় বলেছেন। মন্ত্রণালয়সহ সবাই মিলে স্কুলগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখছে। যাতে যেকোনো সময় স্কুল খুলে দিয়ে কাজ করা যায়। আগে তাঁদের একটি পরিকল্পনা ছিল যে ধাপে ধাপে খোলা। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম হয়তো দুই দিন করা; প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য সপ্তাহে এক দিন করে খোলা। এভাবেই করতে চাইছেন। পরীক্ষার বিষয়ে জাকির হোসেন বলেন: তাঁরা সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির চিন্তা–ভাবনা করছেন। সেটা সমাপনীতেও ব্যবহার হবে। কে কীভাবে কী করল, তার মূল্যায়নের ভিত্তিতে রেজাল্ট দেওয়া হবে। সশরীর পরীক্ষা যদি নিতে পারা না যায়, তাহলে মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফল দেওয়া হবে। স্কুল খুলতে পারলে পরীক্ষা নেয়া হবে। সেপ্টেম্বরে খুলতে পারার প্রস্তুতি আছে, অক্টোবরেরও প্রস্তুতি আছে। ওয়ার্কসিট দেয়া হচ্ছে সিলেবাস অনুযায়ী, এটিও একটি মূল্যায়ন। এটি দেয়ার কারণে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে। পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা। তবে দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।
যদিও সংবাদটি সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নয়। তবু আমরা মনে করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অতি দ্রুত দেশের কোটি কোটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি পরিপূর্ণ সুসংবাদ দেবেন। আমরা আরও আশা করি প্রায় দুই বছরের ব্যাহত শিক্ষাজীবন খুব তাড়াতাড়ি শিক্ষার্থীদের প্রাণ চাঞ্চল্যে মুখরিত হবে। এটি গোটা জাতির জন্য একটি বড় স্বস্থির সংবাদ হবে।

Exit mobile version