টাঙ্গাইলের সখীপুরে নাসির উদ্দিন (৪০) নামের এক ধর্মীয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ৮ জানুয়ারি বেলা দেড়টার দিকে স্থানীয় কাকার্থা রামখা বাজারস্থ ওই শিক্ষকের এলাচি এন্টারপ্রাইজ নামক মনোহরী দোকানের ভেতর এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে মেয়েটির চাচা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নাসির উদ্দিন সখীপুর পৌরসভার কাকার্থা রামখাপাড়া এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে এবং স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক। ঘটনার পর থেকে মেয়েটি আর বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না। অন্যদিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
মেয়েটির চাচা জানান, গত বুধবার দুপুরের দিকে মেয়েটি ওই শিক্ষকের দোকানে কেনাকাটা করতে যায়। এক পর্যায়ে মেয়েটিকে ওই শিক্ষক দোকানের ভেতরে নিয়ে সাটার বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়েটি চিৎকার করলেও আশপাশের দোকান বন্ধ থাকায় কেউ এগিয়ে আসেনি। আনুমানিক দুই ঘণ্টা পর পাশের এক দোকানদার মেয়েটির চিৎকারের শব্দ শুনে বাজারের লোকজনকে বিষয়টি অবগত করে।
পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ওই দোকান ঘরের সাটার খুলে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এসময় ওই শিক্ষক দোকান ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা তার দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
তিনি আরো বলেন, পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে ও গ্রামের মাতাব্বরদের অনুরোধে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা হওয়ায় মামলা করার জন্য আমরা সঠিক সময়ে থানায় যেতে পারিনি।
অভিযুক্ত শিক্ষক মৌলভী নাসির উদ্দিনের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ওই ঘটনার পর থেকে মেয়েটি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছে স্বীকার করে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়েটির চাচা আমার কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার ভাতিজিকে ধর্ষণের বিষয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে আমি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে বিষয়টি অবগত করি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত সিকদার বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সখীপুর থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।