ঘরকুনো একজন মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে যান একদল বন্ধু। সবাই মিলে সাগর পাড়ে ময়লা পরিস্কার করেন। সেখানে গিয়ে কিডন্যাপ হন সেই মেয়েটি। এরপর ঘটতে থাকবে লোহমর্ষক ঘটনা। এমন গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘ব্ল্যাক লাইট’।
মেয়েটির চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রনায়িকা আইরিন সুলতানা ও কিডন্যাপারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ছোটপর্দার চেনামুখ শাহেদ শরীফ।
এই জুটিকে নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ খ্যাত নির্মাতা রিয়াজুল রিজু।
চলচ্চিত্রটিতে আরো অভিনয় করছেন যাহের আলভী, রাহা তানহা খান, আবু হেনা রনি, মেহেদী আকাশ, আফরিনা আজাদ, ড্যান্সার ও কোরিওগ্রাফার আলিফ, পীরজাদা শহীদুল হারুণ সহ অনেকে।
গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে নতুন থিমে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রটি গত ২৫ তারিখ থেকে কক্সবাজার-টেকনাফের মনোরম দৃশ্যে প্রথম লটের শুটিং শেষ হয়েছে। চলচ্চিত্রটিতে চিত্রগ্রাহক হিসেবে রয়েছেন মীর হান্নান এবং কোরিওগ্রাফি করছেন মাটি সিদ্দিকী।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা রিয়াজুল রিজু বলেন, ‘আমার ওস্তাদ শাহেদ শরীফ খান, উনাকে নিয়ে প্রথমবার কাজ করছি। সাথে এই প্রজন্মের একঝাঁক তরুণ এবং জনপ্রিয় শিল্পীরাও রয়েছে। তারমধ্যে আইরিন অত্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমি অভিনেত্রী। যাকে আমি বাটারফ্লাই বলেই সম্মোধন করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘অভিনেতা-অভিনেত্রী, টেশনিশিয়ান সহ সকলেই প্রচুর কষ্ট এবং শ্রম দিচ্ছেন। চলচ্চিত্রটি আধুনিক, উন্নত মনস্ক, শিক্ষিত ও রুচিশীল দর্শকদের জন্য নির্মাণ করছি। এই সিনেমার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্ববাসী নতুন করে দেখবে।’
নির্মাতা ও অভিনেতা শাহেদ শরীফ খান বলেন, রিজু মেধাবী একজন নির্মাতা, ওর সাথে কাজ করে খুবই এনজয় করছি। সাথে কো আর্টিস্ট, টেশনিশিয়ান তারাও খুবই ভালো কাজ করছে। দর্শক ভিন্ন কিছুই পাবে।
অভিনেত্রী আইরিন সুলতানা বলেন, ‘রিজু ভাই অসাধারণ গুণী একজন নির্মাতা। উনার সঙ্গে কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে। আর শাহেদ ভাইয়ের কথা কী বলবো, উনি তো ওস্তাদ মানুষ। উনার সঙ্গে এর আগেও কাজ হয়েছে, আমাদের বন্ডিংটা খুবই ভালো। আমার বিশ্বাস দর্শকরা আমাদেরকে ভালোভাবেই গ্রহণ করবেন। আরেক লট হলেই পুরো কাজ শেষ হবে।