ফেসবুকে এহসানুর রহমান নামে একজনের একটি স্ট্যাটাস চোখে পড়লো। তিনি কতিপয় পুলিশের দ্বারা প্রকাশ্য রাস্তায় যেভাবে নাজেহাল হওয়ার বিবরণ দিয়েছেন, তাতে প্রশ্ন ওঠে, দেশে আইনের শাসন চলবে নাকি আইন প্রয়োগকারীর? আইনের শাসন বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা আইন প্রয়োগকারীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, আইন প্রয়োগকারীরা শাসন নিয়ন্ত্রণ করবেন। দুঃখজনক হলেও সত্যি, অনেক সময়ই আমরা আইন প্রয়োগকারীদের ব্যাপারে এমন সব খবর পাই বা দেখি, যাতে এটা মনে হয় যে, তারাই বোধ হয় শাসন নিয়ন্ত্রণ করছেন।
জনগণের করের পয়সায় যে তাদের বেতন হচ্ছে, জনগণের প্রতি আচরণে তার কোনো প্রতিফলন অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় না। বরং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নাম শুনলেও সাধারণ মানুষ এখন আতঙ্ক বোধ করে। বিশেষ করে যারা ক্ষমতা কাঠামোর ভেতরে নেই। অথচ আইন প্রয়োগকারীদের মূল কাজই হচ্ছে, ক্ষমতা কাঠামোর বাইরে থাকা এই গরিষ্ঠ জনগণকে ভরসা দেয়া। রাস্তায় বিপদে পড়লে কোনো কিছু প্রাপ্তির প্রত্যাশা ছাড়াই বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দৌঁড়ে যাওয়া।
কিন্তু বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। অর্থাৎ মানুষ এখন এই ভরসা দাতাদের দ্বারাই নাজেহাল হয়। পরিবার-পরিজনের পাসপোর্ট বহন কিংবা পকেটে ৫ হাজার টাকা রাখারও জবাবদিহি করতে হয়। এই কাজগুলো আইন প্রয়োগকারীরা কেন করেন, তা সবাই জানেন এবং বোঝেন। কাউকে থানা পর্যন্ত নিয়ে গেলে কোনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হোক বা না হোক, সক্ষমতা অনুযায়ী পয়সা ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার ঘটনা নতুন নয়। অর্থাৎ মানুষ বিপদে পড়লে যাদের কাছে যাবে, তারাই অনেক সময় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এটা আইনের শাসনের পরিপন্থিই শুধু নয়, রাষ্ট্রে আইন প্রয়োগকারীর শাসন প্রতিষ্ঠারও লক্ষণ।
এহসানুর রহমান আরো লিখেছেন,‘আমার পরিবারের সবার পাসপোর্ট আজ ডেলিভারি নিয়ে আগারগাঁও থেকে রিকশা যোগে লালমাটিয়ার দিকে যাওয়ার পথে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের ঠিক পেছনে তাজমহল রোডে ঢোকার মুখে বজ্র কণ্ঠে এই রিকশা দাঁড়াও শুনে রিকশা থামালাম, তখন বাজে বিকাল ৪টা। তারপরই শুরু হাসির কিন্তু চরম বিরক্তিকর নাটকের! এস আই সেলিমের (যতদূর মনে পড়ে) নেতৃত্বে ৫ সদস্যের টহল পুলিশের দল ঘিরে ধরলো আমাকে, উদ্দেশ্য চেক করবে, আমি বাড়িয়ে দিলাম সহযোগিতার হাত। নিজেই পকেট থেকে বের করে দিলাম সব কিছু। কিন্তু তারা সন্তুষ্ট না, নিজেরাই হাত ঢুকিয়ে চেক করবে। রাজি হলাম। ভাগ্যিস প্যান্টের বেল্ট পরা ছিলো, না হলে ইজ্জতের দফা-রফা হয়ে যেত। আমার পকেটে যা ছিলো তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ৪টি পাসপোর্ট -যেগুলো বের করে দেয়ার সাথে সাথেই একজন কনস্টেবল খপ করে আমার এক হাত ধরে ফেললো এমনভাবে যেন জঙ্গি তামিম চৌধুরীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে ধরে ফেলেছে! পরিচয় জিজ্ঞাসা করায় আমার প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরির পরিচয়ে তাদের সন্দেহ ঘনীভূত হয়ে কালো মেঘের আকার নিলো।
এমন সময় আরো তিনজন আনসার দলে যোগ দিয়ে শক্তিবৃদ্ধি করলো। শুরু হোল জেরা। প্রশ্ন: আপনার কাছে এতোগুলো পাসপোর্ট কেন? উত্তর: এইমাত্র ডেলিভারি নিয়ে আসলাম। প্রশ্ন: এগুলোসহ আপনাকে থানায় নিয়ে যাচাই-বাছাই করতে হবে? উত্তর: কেন, এই দাায়িত্ব কি আপনাদের? পুলিশের উত্তর: এতোগুলা পাসপোর্ট নিয়া চলাফেরা করার আইন নাই। আমার উত্তর: এগুলো তো আমার স্ত্রী-সন্তানদের, দেশের কোন আইনে আছে পাসপোর্ট নিয়া চলাফেরা করা যাবে না? ইতিমধ্যে একজন-দুয়েকজন করে পাবলিক জড়ো হওয়া শুরু করেছে। পুলিশ: এরা যে আপনার পরিবার তার প্রমাণ কি? আমি: পাসপোর্টগুলোতে স্বামী এবং বাবা হিসাবে আমার নাম আছে, এছাড়া আমার পাসপোর্ট ও এখানে আছে–আর কি প্রমাণ লাগবে? পুলিশ: ঠিক আছে থানায় গিয়ে এগুলো যাচাই হবে। পুনরায় পুলিশ: আপনার পকেটে এতো টাকা ক্যান (সব মিলিয়ে ৫০০০/ মতো হবে)? আমি: মাত্র ৫০০০ হতে পারে নাও হতে পারে, এটা বহন করা নিষেধ নাকি? পুলিশ: কোথায় পাইছেন? আমি: আমার জরুরি একটা কাজ আছে, আপনারা আমার সময় নষ্ট করছেন এবং আমাকে বিনা কারণে নাজেহাল করছেন। আমার সরকারি পরিচয়ে আপনাদের সন্তুষ্ট হওয়ার কথা। পুলিশ: আপনি সরকারি অফিসারই হোন আর ভিআইপি হোন এগুলা দেয়া যাবে না। আচ্ছা আপনি বললেন এইমাত্র ডেলিভারি আনছেন, ডেলিভারি স্লিপ দেখান! আমি হাসবো না কাইন্দা দিবো বুঝতে পারছিলাম না, এতো জাদরেল পুলিশ জানেই না যে ডেলিভারি স্লিপ জমা নিয়াই পাসপোর্ট ডেলিভারি দেয়! এরই মধ্যে উৎসাহী জনতা পরামর্শ দিলো পাসপোর্টের তথ্যগুলো আমি না দেখে বলতে পারি কি না তা পরীক্ষা করলেই ঝামেলা মিটে যায়। আমি তাদের সহযোগিতায় মুগ্ধ, কারণ অনেকেই বুঝে গেছে পুলিশ অন্য কিছুর আশায় ঝামেলা করছে।
তাই তারা আগ বাড়িয়ে আমাকে সাহায্য করার চেষ্টা করছে। শুরু হলো নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ, একজন কনস্টেবল পিএসসির চেয়ারম্যানের ভাব নিয়ে প্রশ্ন শুরু করলো, সবগুলোর সঠিক উত্তর দিয়ে যখন আমিও বি সি এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ভাব ধরতে যাবো তখনই বাধলো বিপত্তি। শেষ প্রশ্নে গেলাম আটকে! প্রশ্ন: আপনার শ্বশুরের নাম? আমি: চান মিয়া। সেই চেয়ারম্যান ভাবধারী পুলিশ; স্যার ধরা খাইসে, পুরা মুখস্ত করতে পারে নাই। এস আই: ক্যান মিলে নাই? চেয়ারম্যান ভাবধারী: না স্যার নামের শুরুতে “ল্যাটা” আছে সেইটা বলতে পারে নাই, ভুইলা গেছে। আপনারা নিশ্চয়ই জানান MRP-তে সকল তথ্য ইংরেজিতে লেখা থাকে, সেই মতো আমার শ্বশুরের নাম লেখা- Late Chan Mia আমাকে প্রশ্নকারী চেয়ারম্যান ভাবধারী পুলিশ সাহেব Late মানে “প্রয়াত” কে “ল্যাটা” ভেবে এটিকে নামের অংশ ধরে নিয়ে আমার ভুল ধরে ফেলেছেন বুঝতেই পারছেন বিদ্যার টাইটানিক এক একজন! আমি তখন তাকে বললাম–ভাইয়া এটা ল্যাটা হবে না, লেট হবে মানে প্রয়াত! ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০ মিনিট পেরিয়ে গেছে এবং উপস্থিত জনতার মধ্যে এক ধরনের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, পরিস্থিতির অবনতি আঁচ করতে পেরে তারা আমাকে বিদায় দেয়।’
এই ঘটনা বর্ণনা করার পরে এহসানুর রহমান প্রশ্ন রেখেছেন, টাকা সাথে বহন করার জন্য পুলিশের আগাম অনুমতি লাগে কি না? ইচ্ছে করলেই পুলিশ সাধারণ নাগরিককে নাজেহাল করার ক্ষমতা ধারণ করে কি না? পথে-ঘাটে পাসপোর্ট যাচাই-বাছাই করার দায়িত্ব/ক্ষমতা/যোগ্যতা পুলিশের আছে কি না?
এই প্রশ্ন হয়তো আরও বহু নাগরিকেরই, যারা এ ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বিকে তার পরিচয় পাওয়ার পরও মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ কীভাবে নির্যাতন ও নাজেহাল করেছিল, সেই খবর গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়েছে। এর কয়েকদিন পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা বিকাশ নির্যাতিত হয়েছেন সাদা পোশাকের পুলিশের দ্বারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল কাদেরকে থানায় নিয়ে কীভাবে পেটানো হয়েছে, চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়েছে, সেই খবরও টক অব দ্য কান্ট্রি হয়েছিল। অর্থাৎ সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংকার এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-কোনা পরিচয়ই পুলিশকে সন্তুষ্ট করার জন্য যথেষ্ট নয়। তাহলে যাদের এরকম কোনো পরিচয় নেই, যারা নিতান্তই সাধারণ মানুষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ফেড়ে পড়লে তাদের কী ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়, তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হবার প্রয়োজন হয় না।
বস্তুত এসব কারণেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশের ভাবমূর্তি এখন তলানিতে। সম্প্রতি জঙ্গি দমনে তারা বেশ সফলতার পরিচয় দিলেও তাদের এই ভাবমূর্তি সংকটের কারণে অনেকেই এসব অভিযানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কল্যাণপুরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পরে ফেসবুকে এ নিয়ে নানারকম লেখালেখি হয়। যদিও এর একটা ব্যাখ্যা তখন দিয়েছিলেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের পুলিশের যে আইনী ক্ষমতা এবং দক্ষতা-তাতে তারা যেকোনো অপরাধীকেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধরে ফেলতে পারে। এরকম কথাও প্রচলিত আছে যে, পুলিশ আন্তরিক হলে মসজিদ থেকে একটি জুতাও চুরি হবে না।
রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী রিশা হত্যার পরে তার সহপাঠীদের আন্দোলনে গিয়ে রমনা জোনের সহকারী কমিশনার শিবলি নোমান ঘোষণা দিয়েছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীকে ধরা হবে। হয়েছেও তাই। ৪৮ ঘণ্টার আগেই নীলফামারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত ওবায়দুলকে। এটি সম্ভব হয়েছে এ কারণে যে, এই ঘটনায় রাজনীতি ছিল না। ফলে পুলিশের ওপর রাজনৈতিক চাপও ছিল না। দ্বিতীয়ত পুলিশ সত্যি সত্যিই অপরাধীকে ধরতে চেয়েছে। অর্থাৎ এখানে তাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি ছিল না।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার পরও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধী ধরা পড়বে। কিন্তু সেই ৪৮ ঘণ্টা আজও শেষ হয়নি। কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় কলেজছাত্রী তনু হত্যাকারীরাও ধরা পড়েনি। এখানে পুলিশের আন্তরিকতার ঘাটতি নাকি সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব-তা আমরা জানি না। তবে আন্দাজ করতে পারি।
বলাই হয়, পুলিশকে যদি সব ধরনের রাজনৈতিক চাপ ও প্রভাবমুক্ত রাখা যায়, তাহলে দেশ থেকে সব ধরনের অপরাধ দূর করা সময়ের ব্যাপার। কিন্তু এ কথাও সত্যি যে, পুলিশ বাহিনীর মধ্যে খারাপ লোকের সংখ্যাও কম নয়। তারা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে পয়সা আদায় থেকে শুরু করে বড় বড় মামলায় জড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে যেভাবে নাজেহাল করে, তা গা শিউরে ওঠার মতো। ফলে পুলিশ যখন অনেক ভালো উদাহরণও তৈরি করে, সাধারণ মানুষ প্রথম চোটেই তা বিশ্বাস করতে চায় না। বন্দুযুদ্ধে প্রকৃত অপরাধী নিহত হলেও অনেকে সন্দেহ করেন, নিহত ব্যক্তি আসলেই অপরাধী ছিলো কি না?
বাংলাদেশের পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের গড়পরতা যে ধারণা তা অনেকটা এরকম-পুলিশ বিনা ধান্দায় কোনো অভিযানে যায় না; নিরীহ লোকদের থানায় ধরে নিয়ে যায় শুধুমাত্র পয়সার জন্য; কোনো মামলায়ই তারা টাকা ছাড়া নেয় না; বাদী ও আসামিপক্ষের যাদের কাছ থেকে বেশি টাকা পায় তার পক্ষে মামলার চার্জশিট দেয়; রাজনৈতিক এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে তারা কিছু কাজ করলেও তাদের মূল টার্গেট টাকা কামানো; অনেক টাকা ঘুষ দিয়ে যেহেতু চাকরি পেতে হয় এবং উপরমহলকে নিয়মিত বখরা দিতে হয়, সেক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘুষ না খেয়ে কোনো উপায় থাকে না; পুলিশ মূলত সরকারের পেটোয়া বাহিনী হিসেবেই কাজ করে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং নাগরিকের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় যে বাহিনীর ওপর, তাদের এরকম ভাবমূর্তি একটি দেশের জন্য মোটেই সুখকর নয়। পুলিশ বাহিনীতে যে সৎ লোক নেই, তা নয়। কিন্তু সামগ্রিকভাবে এই বাহিনীর গ্রহণযোগ্যতা ও ভাবমূর্তি এখন ভয়াবহ সংকটাপন্ন। যদিও পুলিশের তরফে এই ভাবমূর্তি বাড়ানোর জন্য নানা উদ্যোগের কথাই শোনা যায়।
তবে যে বক্তব্যটি সব সময়ই শোনা যায় তা হলো, মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে চাকরি নিতে হলে পুলিশ তো ঘুষ খাবেই। সাধারণ মানুষকে নাজেহাল করে পয়সা আদায় করবেই। সুতরাং পুলিশের দ্বারা সাধারণ মানুষের নির্যাতিত ও নাজেল হওয়া বন্ধের আগে পুলিশের নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলিতে স্বচ্ছতা আনার কোনো বিকল্প নেই। সেইসাথে আইনের শাসন আর আইন প্রয়োগকারীর শাসন যে এক জিনিস নয়, সেটিও আমাদের বোঝা দরকার। বিশেষ করে রাজনীতিকরা যত দ্রুত এটি উপলব্ধি করবেন, ততই মঙ্গল। অর্থাৎ পুলিশকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ব্যবহার করতে থাকলে, তাদের হাতে সাধারণ মানুষ নাজেহাল হতেই থাকবে।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)