বহুল প্রতীক্ষিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকল ধরণের প্রচারণা শেষ হয়েছে। এখন পুরো দেশের নজর এখন ৩০ ডিসেম্বরের দিকে। সারা দেশের ২৯৯টি আসনে সাড়ে ১০ কোটি ভোটার যাদের পক্ষে রায় দেবে, আগামী পাঁচ বছর তাদের হাতেই থাকবে বাংলাদেশ।
২০১৪ সালে অধিকাংশ নিবন্ধিত দলের বর্জনে ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার পাঁচ বছর পর এবারের নির্বাচনে প্রায় সব দল অংশ নিচ্ছে। আর এবারই একটি গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে রেকর্ড সংখ্যক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এবারের নির্বাচনে একটি আসনের প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ২৯৯টি আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ৫ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৩১১ এবং পুরুষ ৫ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬২ জন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করবেন ৪০ হাজার ১৮৩ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৩২ জন পোলিং অফিসার।
প্রতীক বরাদ্দের পর গত ১০ ডিসেম্বর সারা দেশে আনুষ্ঠানিক ভোটের প্রচার শুরু হয়েছিল। সেই সুযোগ শেষ হয়েছে শুক্রবার সকাল ৮টায়। তার আগে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটেছেন প্রার্থীরা। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না।
আমরা আশা করি, নির্বাচনের দিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা জাতি।
এর পাশাপাশি নির্বাচনের ফলাফল যা-ই হোক সব দল সেটা জনগণের রায় হিসেবে মেনে নিতে হবে। ভোটের রায় নিয়ে যেন কোনো সুযোগ সন্ধানী কোনোরকম সহিংসতা বা নাশকতা চালাতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।