প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এদেশের সকল মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের পূর্বশর্তই হচ্ছে অসাম্প্রদায়ীক চেতনাকে জাগিয়ে তোলা।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট ইনার গার্ডেনে “স্মৃতি চিরঞ্জীব” স্মারক সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর জাজেস লাউঞ্জে দেয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবাসতেন। ছোটবেলা থেকেই তার মাঝে এই গুণটি ছিল। তিনি মানুষকে ভালোবেসে তাদের মুক্তির জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে এদেশ স্বাধীন করেছিলেন। এমনকি, নিজের জীবন দিয়ে তিনি এদেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করে গেছেন।’
একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এদেশের সকল মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের পূর্বশর্তই হচ্ছে অসাম্প্রদায়ীক চেতনাকে জাগিয়ে তোলা। অর্থনৈতিক সহ সকল ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি অর্জন করতে গেলে রাষ্ট্রের যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে সকলের মধ্যে সহমর্মিতা। আর তার পূর্বশর্তই হচ্ছে অসাম্রদায়ীক চেতনায় একটি দেশকে গড়ে তোলা।’
জাজেস লাউঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও হাইকোর্টের বিচারপতি খসরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের শিশু সন্তানেরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী তার আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রধান বিচারপতিকে উপহার দেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান বিচারপতি শিশুদের হাতে চকলেট তুলে দেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এর আগে রোববার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি সারাদেশে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের এই দিনে তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমান জেলা) টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।