কোরবানির ঈদকে ঘিরে রাজধানীর বাজারে মসলার পাশাপাশি রসুন ও আদার বাজার আগে থেকেই আকাশছোঁয়া। তাতে এবার যুক্ত হয়েছে শশা আর টমেটো। মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে শশার দাম কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৩০ টাকা। আর টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৪০ টাকা।
রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল ও কাঁঠালবাগানসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি হাইব্রিড শশা খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। আর দেশী শশা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। এছাড়াও টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।
আর মসলার বাজার বেশ কয়েকদিন থেকেই বাড়তি। তবে নতুন করে বাড়ছে আদা আর রসুনের দাম। ৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি আদার দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা ও রসুনের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
ক্রেতারা বলছেন, কোরবানির মাংসের সাথে শশা ও টমেটো এই দুটো জিনিস অপরিহার্য। বিক্রেতারা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভোক্তার পকেট কাটছে।
রাজধানীর মগবাজার থেকে কারওয়ান বাজারে শশা-টমেটো কিনতে এসেছেন গৃহিণী শাহিনুর বেগম। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘ঈদে অফিস-আদালত বন্ধ। সরকারি কার্যক্রমও বন্ধ। বাজারে মনিটরিংয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। সব ধরনের মসলার দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। শশার গায়ে তো হাত দেয়া যায় না। যেন আগুন লেগেছে।’
কাঁঠালবাগান বাজারে সবজি কিনতে আসা শাহ্ আলম বলেন, ৩/৪ দিন আগেও এক কেজি শশা কিনেছি ৫০/৬০ টাকায়। এখন দাম ১২০ টাকা। টমেটো কিনেছি ৭০ টাকায়। এখন বলছে ১৫০ টাকা। এবার হিসেব করেন কত বাড়ছে?
হঠাৎ শশার দাম বাড়তি কেন জানতে চাইলে কাঁঠালবাগান বাজারের সবজি বিক্রেতা মনির শেখ বলেন, ঈদে সব পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাড়িতে চলে গেছে। বাজারে সবজি নেই। তাই দাম বাড়তি।
কারওয়ান বাজারের সবজি আড়তে এসে অবশ্য দেখা গেছে, অধিকাংশ পাইকারি আড়ৎ বন্ধ। এখানেও খুচরা পর্যায়ে শশা-টমেটোর দাম চড়া। তবে অন্যান্য সবজি হাতের নাগালে। ধুন্দুল, পটল, বেগুন, ঢেঁড়শসহ সব ধরনের সবজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।
শশা-টমেটোর দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা দুলাল হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, পাইকাররা মাল বেশি আনছে না। আগামীকাল ঈদ। তাই বেশিরভাগ ব্যবসায়ী বাড়িতে চলে গেছে। আর প্রতিবছর কোরবানি ঈদের সময় শশা-টমেটোর দাম একটু বাড়তিই থাকে।