করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটির মধ্যেই শর্ত সাপেক্ষে চালু হতে পারে পুঁজিবাজারের লেনদেন। এ নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তও হয়ে গেছে।
বুধবার এক অনলাইন সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ লেনদেন চালু করার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শর্ত দুটির একটি হচ্ছে- নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র অনুমতি, অন্যটি করোনা পরিস্থিতির উন্নতি অথবা নিদেনপক্ষে স্থিতিশীলতা।
বৈঠকসূত্রে জানা গেছে, সাধারণ ছুটির মেয়াদ আর না বাড়লে আগামী ৭ মে লেনদেন শুরু হবে। আর ছুটি বাড়ানো হলে লেনদেন ৩ দিন পিছিয়ে ১০ মে শুরু করা হবে।
তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়নি।
নভেল করোনাভাইরাস এর মহামারি মোকাবেলায় সরকার গত ২৪ মার্চ সারাদেশে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।
পরে কয়েক দফায় এর মেয়াদ বাড়িয়ে তা ৪ মে নির্ধারণ করা হয়। এই ছুটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দুই স্টক এক্সচেঞ্জেও ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ কারণে বন্ধ রয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেন।
করোনার মধ্যেও বিশ্বের প্রায় সব দেশে পুঁজিবাজার চালু রয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে লেনদেন বন্ধ রাখার বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা শুরু হয়। ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার-পরিচালকদের মধ্যেও বিভক্তি দেখা যায়। এর মধ্যেই আজ লেনদেন শুরুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে ডিএসই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও তার বাস্তবায়ন নির্ভর করবে কয়েকটি বিষয়ের উপর। লেনদেন চালুর জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সম্মতি প্রয়োজন হবে। কারণ সাধারণ ছুটিতে বিএসইসিও বন্ধ থাকে। কিন্তু লেনদেন শুরু হলে বিএসইসি, অন্তত পক্ষে এর সার্ভিল্যান্স শাখা খোলা থাকা জরুরি। লেনদেন চালুর জন্য সিডিবিএল খোলা রাখাও জরুরি।
এছাড়া সাধারণ ছুটিতে ব্যাংকিং চালু থাকলেও তা হচ্ছে অর্ধবেলা। অন্যদিকে গত তিন চারদিনে দেশে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। অবস্থা যদি আরও খারাপ হয় তাহলে স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তা, বিনিয়োগকারী ও স্টেকহোল্ডারদের নিরাপত্তার বিষয়টি নতুনভাবে বিবেচনায় নিতে হবে। এসব বিষয় পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ম্যানেজমেন্টকে নির্দেশ দিয়েছে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ।