দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৭১৫তম দিনে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৬৫ জন।
এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৯৮৬ জন। শনাক্তের হার সাত দশমিক ৮২ শতাংশ। আগের দিন শুক্রবার শনাক্ত হয়েছিল দুই হাজার ১৫০ জন।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো এবং গত ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৫ হাজার ৪০৫টি পরীক্ষায় এক হাজার ৯৮৭ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার সাত দশমিক ৮২ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৮৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮৩৬টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ আট হাজার ৮৬৭টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৩৩ হাজার ২৯১ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় নয় হাজার ২৫২ জনসহ মোট ১৭ লাখ ৫৪ হাজার ৫৮৪ জন সুস্থ হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২১ জনের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও সাতজন নারী। তাদের হাসপাতালে (সরকারি ১৩, বেসরকারি আট) মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৮ হাজার ৯৬৫ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৫০ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছে ২৪ হাজার ৫৫৯ জন, যার শতকরা হার ৮৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছে তিন হাজার ৫৯০ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বাসায় ৭৮১ জন মারা গিয়েছে, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৭০। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে ৩৫ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৪৯৯ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং ১০ হাজার ৪৬৬ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক ১৩ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২১ জনের মধ্যে একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চশোর্ধ্ব একজন, ষাটোর্ধ্ব ছয়জন, সত্তোরঊর্ধ্ব আটজন, আশিউর্ধ্ব দু’জন ও নব্বইঊর্ধ্ব একজন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে চারজন, রাজশাহী বিভাগে একজন, বরিশাল বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে একজন ও রংপুর বিভাগে দু’জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৪২ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৯ লাখ তিন হাজারের বেশি। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৪ কোটি ৯১ লাখের বেশি।