দূষণমুক্ত পরিবেশের জন্য শকুন রক্ষা আহবান জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। এইজন্য কিটোপ্রফেন ইনজেকশন নিষিদ্ধ এবং তিন মিলিলিটারের বেশী ডাইক্লোফেন উৎপাদন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।
ভারত থেকে আসা গরু সম্পর্কেও সতর্ক থাকার তাগিদ দিয়েছেন বক্তারা।
একসময় তিন প্রজাতির শকুন ছিল এদেশে । এরমধ্যে রাজশকুন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বাংলা শকুন আর সরু ঠোট শকুনও বিলুপ্তির পথে।
শকুন কোনো জীবিত প্রাণী খায় না। শুধুমাত্র মৃত প্রাণী খেয়ে প্রকৃতিকে পরিস্কার রাখে শকুন। মারা যাওয়ার পরও বেদনানাশক ওষুধ ডাইক্লোফেন ইনজেকশন নেওয়া গরু- মহিষের দেহে তার প্রভাব থাকে । আর সেইসব প্রাণীর দেহ বা দেহের ফেলে দেওয়া অংশ খেয়ে মারা যায় শকুন। এভাবে মাত্র কয়েক বছরে শেষ হয়েছে শকুন।
রোববার আর্ন্তজাতিক শকুন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, সচেতনতার বিকল্প কোনো কিছু নেই। এর জন্য প্রয়োজন প্রচার ও প্রচারণা। এই প্রচার-প্রচারণা করতে হলে সরকারি-বেসরকারি সব জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এই বছর শকুন দিবসে ভারতে তিন মিলিলিটারের বেশী ডাইক্লোফেন উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই ধরণের সিদ্ধান্ত আমাদের সরকারেরও নেওয়া উচিৎ।
সেমিনারে উপস্থিত বক্তরা বলেন, গত ৩০ বছরে শকুন প্রায় ধংস হয়ে গেছে। একটি ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাবে এই প্রজাতি আজ বিলুপ্তির পথে।
২০১০ সালে পশুর দেহে ডাইক্লোফেন নিষিদ্ধ হলেও বন্ধ হয়নি এর ব্যবহার।
শকুনের জন্য নিরাপদ আশ্রয়, এর বংশ বিস্তারে কার্যকর উদ্যোগের নেওয়ার দাবী জানানো হয় আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবসের আলোচনায়।
রোববার সকালে শকুন রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে দোয়েল চত্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয় বর্ণাঢ্য র্যালী।