সাকিব আল হাসানের প্রথমবার আইসিসির ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ স্বীকৃতি ও টি–টুয়েন্টি অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ আসনে ফেরার দিনে সুসংবাদ পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেটে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে ফিরেছেন কাটার মাস্টার।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ টি-টুয়েন্টির সিরিজে সবকটি ম্যাচে খেলেছেন মোস্তাফিজ। আক্ষরিক অর্থেই সেরা অস্ত্র কাটারে মাস্টারি দেখিয়েছেন অজি ব্যাটসম্যানদের সামনে। তাকে পুরো সিরিজে সফরকারী কেউই সেভাবে খেলতে পারেননি।
বুধবার ছোট ফরম্যাটের র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ প্রকাশ করেছে আইসিসি। তাতে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন ফিজ। ২০ ধাপ এগিয়ে এখন আছেন দশম স্থানে। শীর্ষে সাউথ আফ্রিকার তাবরিজ শামসি।
অজিদের বিপক্ষে ৫ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। বড় কথা বাঁহাতি পেসার
ওভারপ্রতি দিয়েছেন সবে ৩.৫২ রান করে, গড়টাও বেশ আকর্ষণীয়, ৮.৫৭! উন্নতি অবধারিতই ছিল।
এই সিরিজে সাকিব ব্যাটে আনেন ১১৪ রান, সঙ্গে ঝুলিতে জমান ৭ উইকেট। লঙ্কান মালিঙ্গার পর বিশ্বের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টুয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলকে ঢুকে পড়েন। আর বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই ফরম্যাটে একশ উইকেট ও হাজার বা তার বেশি রানের ডাবলের কীর্তি গড়েন।
যে পারফরম্যান্স দিয়ে তিন বছর পর টি-টুয়েন্টির অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের সিংহাসন পুনরুদ্ধার করেছেন টাইগার তারকা। টি-টুয়েন্টিতে শুধু ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ৫৩তম অবস্থানে আছেন সাকিব। আর শুধু বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে আছেন ১২তম অবস্থানে।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দারুণ চমক দেখিয়েছেন নাসুম আহমেদ। অজি সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। যা তাকে বোলারদের সেরা একশতে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বাঁহাতি টাইগার স্পিনারের অবস্থান এখন ৬৬তম আসনে।
সিরিজের শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ৩ উইকেট তোলা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এগিয়ে এখন বোলারদের মধ্যে ৪৩তম অবস্থানে। শরিফুল ইসলাম আছেন ৭৬-এ।
টি-টুয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানদের লিস্টে এগিয়ে ২৯তম অবস্থানে এখন ওপেনার নাঈম শেখ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩৩তম, সৌম্য সরকার আছেন ৪৪-এ।