কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদ্রাসায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দুই দিনে ১০ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন সদস্যরা। এরমধ্যে ৫ জন এজাহার নামীয়, অন্যদেরকে সন্দেহভাজন হিসাবে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ এপিবিএন কমান্ডিং অফিসার (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান।
গ্রেপ্তার আসামীরা হলেন: উখিয়ার ১১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ/২ ব্লকের আবু আলমের ছেলে মুজিবুর রহমান (১৯), এফসিএন ক্যাম্পের এফ/২৯ ব্লকের আবু তৈয়বের ছেলে দিলদার মাবুদ ওরফে পারবেজ (৩২), একই ক্যাম্পের সৈয়দ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আইয়ুব (৩৭), ক্যাম্প-৯ এর জি/৩৯ ব্লকের নুর বাশারের ছেলে ফেরদৌস আমিন (৪০) ও মৌলভী জাহিদ হোসেনের ছেলে আব্দুল মজিদ (২৪)।
এছাড়াও সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- এফ/১৩ ব্লকের আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন (৩৫), ক্যাম্প-১৩ এর বি/৩ ব্লকের আবু সিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুস ওরফে ফয়েজ (২৫), ক্যাম্প-১২ এর জে/৬ ব্লকের ইলিয়াছের ছেলে জাফর আলম (৪৫), ক্যাম্প-১০ এর জি/৭ ব্লকের ওমর মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ জাহিদ (৪০) ও ক্যাম্প ১৩ এর ডি/২ ব্লকের মৃত নাজির আহমদের ছেলে মোহাম্মাদ আমিন (৪৮)।
রোববার সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘটনার পর থেকেই ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পুলিশ সদস্যরা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে এবং অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ৫ জন সহ হামলার সাথে জড়িত সন্দেহে অপর ৫ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এরমধ্যে অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে উখিয়ায় থানায় পুলিশ বাদি হয়ে অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা দায়ের করে।’
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উখিয়া থানায় নিহত রোহিঙ্গা আজিজুল হকের পিতা নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করেন। এসময় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০/২৫০জনকে আসামী করা হয়।
গত ২২ অক্টোবর রাত ৪টার দিকে উখিয়ার বালুখালী এফডিএমএন ক্যাম্প-১৮ এর এইস-৫২ ব্লকে অবস্থিত ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল ইসলামিয়াহ’ মাদ্রাসায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এসময় অবস্থানরত মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক ও ভলানটিয়ারসহ ৬ জন নিহত হয়।