Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

রোনালদোর কারণে জুভেন্টাস ছাড়তে পারেন তিন সতীর্থ

তার আগমনের পর থেকেই জুভেন্টাস সবকিছু করছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ঘিরে। সিআর সেভেনের প্রতি বাড়তি দৃষ্টিতে ক্লাবের কিছু খেলোয়াড় আবার বিরক্ত।

ডন ব্যালন এক রিপোর্টে জানাচ্ছে, রোনালদোর প্রতি পক্ষপাতিত্বের কারণে পাওলো দিবালা, মারিও মানজুকিচ এবং অ্যালেক্স সান্দ্রোর মতো ফুটবলাররা মৌসুম শেষে জুভেন্টাসের ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে পারেন।

যেহেতু পর্তুগিজ তারকা তুরিনে আসার পর ক্লাবের বেশিরভাগ কাজ তাকে কেন্দ্র করেই চলছে এবং তার পছন্দ-অপছন্দকে পরিপূর্ণ করছে, তাই নিজে থেকেই সরে যেতে চাইছেন এসব তারকা খেলোয়াড়রা।

গত মৌসুমেও ক্লাবের পরিকল্পনার মূল চিত্রে ছিলেন দিবালা। কিন্তু রোনালদোর আগমনের পর তিনি দৃশ্যত পরিকল্পনা থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন, যেটা আসলে দিবালার সাথে ভালোভাবে যায় না।

সম্প্রতি দিবালার ভাই দাবি করেন, মৌসুম শেষে জুভেন্টাস ছাড়তে পারেন দিবালা। তার এই মন্তব্য সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক মুখরোচক আলোচনার জন্ম দেয়।

পত্রিকাটির রিপোর্টে বলা হয়, এই মৌসুমে ক্লাবের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে, তুরিনের অগ্রাধিকার হল রোনালদোকে খুশি রাখা, সেটা রিয়ালে যেমন ছিলেন বা তার চেয়ে বেশি। তার চেয়ে অন্যকোনো খেলোয়াড়কে অপরিহার্য মনে না করা।

ঠিক এ কারণেই, পরবর্তী মৌসুমের আগে ক্লাব থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন দিবালা-মানজুকিচ ও সান্দ্রো।

এদিকে, নেতিবাচক খবরের পাশে রোনালদোর ইতিবাচক খবরও আছে। আবার মহৎ কাজে এগিয়ে এসেছেন তিনি। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মানুষদের রমজান পালনের জন্য ১৫ লাখ ইউরো অর্থ সাহায্য করেছেন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের পাশে থাকা অবশ্য নতুন নয় রোনালদোর। অতীতেও তাকে বারবার দেখা গেছে সেদেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে। ২০১২ সালে রোনালদো ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য অভিনব উপায়ে অর্থ সাহায্য করেন। ২০১১ সালে ইউরোপের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারে পাওয়া সোনার বুট নিলামে তোলেন। সেখান থেকে পাওয়া ১৫ লাখ ইউরো দেন ফিলিস্তিনের শিশুদের সাহায্যার্থে।

Exit mobile version