বাংলার নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর প্রতি বছর সারাদেশে সরকারিভাবে রোকেয়া দিবস পালন করা হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম ছিল না। দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারো রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ওই মহিষসী নারীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান সময়ের অনুসরণীয় কিছু নারীকে সম্মাননা জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোকেয়া দিবস ও রোকেয়া পদক-২০১৭ বিতরণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব মেধা শক্তি এবং ক্ষমতার ওপর আস্থা রাখার জন্য দেশের নারী সমাজের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, নারী ও পুরুষ উভয়ে মিলেই দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে। আমরা চাই দেশের সকল নারী-পুরুষ দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে তোলার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করবে। মেয়েদেরকেও সবসময় এটা ভাবতে হবে, যার যে মেধা যার যে শক্তি সে যেন সেটাকে বিকশিত করে। দেশের জনসংখ্যার বিচারের নারী পুরুষের সংখ্যা প্রায় সমান সমান। নানা সমস্যাসঙ্কুল এই দেশে নারীদের অনেক প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হলেও অগ্রগতি কিন্তু কম না। দেশের নারীরা বিমান উড়িয়ে বিশ্বশান্তিতে অবদান রাখছে, লাখো নারী র্গামেন্টস কর্মী সূই-সুতার অর্থনৈতিক উন্নয়ন যুদ্ধে সমানতালে অবদান রেখে যাচ্ছে। দেশের সরকার পরিচালনায় কয়েক যুগ ধরে নারী নেতৃত্বের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতি, সশস্ত্র বাহিনী, আইসিটি, প্রশাসন থেকে শুরু করে কৃষি ও গার্মেন্টস সেক্টরে নারীদের উজ্জ্বল পদচারণায় বেগম রোকেয়ার আলোর মশাল জ্বল জ্বল করে জ্বলছে। ‘পৃথিবীতে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’ -নারী ও পুরুষকে এভাবেই দেখেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তবে নারীর বর্তমান অগ্রযাত্রা সেই অর্ধেকের হিসেব যেকোনো সময় বদলে দিতে পারে বলে আমাদের ধারণা। বেগম রোকেয়ার চেতনায় দীর্ঘজীবী হোক নারীর অগ্রযাত্রা।