Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

রেণু পোনার অভাবে বাগেরহাটে চিংড়ির উৎপাদন ব্যাহত

মানসম্মত রেণু পোনার অভাবে গলদা চিংড়ির কাঙ্খিত উৎপাদন পাচ্ছেনা বাগেরহাটের চাষীরা ।

প্রাকৃতিক উৎস থেকে রেণু পোনা আহরন বন্ধ থাকায় হ্যাচারির অপুষ্ট রেণু পোনা চাষ করে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা ।

বাগেরহাটের ফকিরহাট, চিতলমারি ও মোল্লারহাট উপজেলায় গলদা চিংড়ির চাষ হয় সবচেয়ে বেশী।

প্রতি বছর কয়েক কোটি রেণু পোনার চাহিদা রয়েছে ওই এলাকার চাষীদের। কিন্তু প্রাকৃতিক উৎস নদ-নদী থেকে রেণু পোনা আহরণ বন্ধ থাকায় এবং সরকারিভাবে রেণু পোনার চাহিদা মেটাতে না পারায় বেসরকারি হ্যাচারি থেকে অপুষ্ট ও মানহীন পোনা চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষীরা।

তারা বলছেন,‘হ্যাচারির মাছ একটু শীত পড়লেই মারা যায়। আবার দাড়ি-মোচ কাটলে শ্রাবণের দিকে এ মাছ মরে যায়।’

একজন চিংড়ি চাষী, বাগেরহাট প্রাকৃতিক উৎস থেকে আহরিত রেণুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী। বেঁচে থাকে বেশি সময় , সেইসাথে গুণগত মানসম্মত হওয়ায় উৎপাদনও ভালো হয়।

চাষীরা বলছেন, ‘নদীর মাছ সব সময় ভালো হয়। আমরা যখনই নদী থেকে রেণু এনে চাষ করেছি তখনই লাভবান হয়েছি। সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ আমরা যেনো নদীর মাছ পেতে পারি।’

চিংড়ি ব্যবসায়ীসরকারিভাবে স্বাদু পানির রেণু উৎপাদনে জেলায় জেলায় প্রকল্প রয়েছে। ওই প্রকল্পে উৎপাদিত মানসম্মত পোনা সরবরাহ করতে পারলে চিংড়ি চাষীদের সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করে মৎস্য বিভাগ ।

বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা ইফতেখারুল আলম বলেন, ‘আমরা জানি কিছু অসাধু হ্যাচারি মালিক বিভিন্ন ভাবে এ রেণু গুলো দিয়ে থাকে। কিন্তু আমরা যদি সরকারি ভাবে এ রেণুগুলো দিতে পারি তাহলে এ সমস্যা আর থাকবে না।’

চলতি বছর ফকিরহাট উপজেলায় সাত হাজার নয়শ’ ঘেরে গলদা চিংড়ি চাষ হয়েছে। এই চিংড়ি চাষে সাথে নিয়োজিত রয়েছে কমপক্ষে আট হাজার চাষী।

Exit mobile version