ছেলেদের এককে সপ্তম বাছাই ইতালির মাত্তেও বের্রেত্তিনিকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠে গেছেন রাফায়েল নাদাল। সুইস কিংবদন্তি রজার ফেদেরার ও সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচের সমান ২০টি গ্র্যান্ড স্লাম আছেন ৩৫ বর্ষী স্প্যানিশ মহাতারকার। রেকর্ড শিরোপাটি ছোঁয়া থেকে এখন এককদম দূরে দাঁড়িয়ে নাদাল।
২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে প্রথমবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিলেন নাদাল। তারপর দীর্ঘ ১৩ বছরের খরা অজি কোর্টে। সেটি কাটানোর সুযোগ এবার। জিতলেই ২১টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের একক রেকর্ডে বসবেন।
শুক্রবার রড লেভার অ্যারেনায় প্রথম সেটে বের্রেত্তিনিকে সহজে হারান নাদাল, ৬-৩ ব্যবধানে। পরের সেটে ষষ্ঠ বাছাই আরও দাপটের সঙ্গে খেলে ৬-২ ব্যবধানে জিতে যান।
তৃতীয় সেটে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ান বের্রেত্তিনি। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ৬-৩ ব্যবধানে জিতে একপেশে ম্যাচ না হওয়ার ইঙ্গিত দেন।
চতুর্থ সেটের শুরুতে লড়াই জমানোর চেষ্টা করেছিলেন বের্রেত্তিনি। অভিজ্ঞ নাদাল ঠিকই আধিপত্য বিস্তার করে ৬-৩ ব্যবধানে জিতে নেন।
‘দারুণ খেলে ম্যাচ শুরু করেছিলাম। প্রথম দুই সেট অনেকদিন পর এখন পর্যন্ত সেরা ছিল। তখন জানি মাত্তেও কতটা ভালো, সে খুব শক্ত খেলোয়াড়, খুব বিপজ্জনক। তৃতীয়টিতে জানি কোনো এক সময়ে সে শট নিতে চলেছে এবং তারপরেও মনে করি তৃতীয় সেটে নিজের মতো ভালো খেলিনি।’ জয়ের পর বলেন নাদাল।
‘সে অসাধারণ কিছু শট খেলেছে, পাসিং শট ডাউন দ্য লাইন, অবিশ্বাস্য। তবে হ্যাঁ, তারপর আমাকে কষ্ট পেতে হয়েছিল এবং চতুর্থটিতে আবার লড়াই করতে চেয়েছিলাম। আজ যেখানে আছি সেটাই একমাত্র রাস্তা। সত্যি বলতে এখানে আবার ফাইনালে যাওয়া আমার কাছে অনেক অর্থবহ।’
রড লেভার অ্যারেনার পরিবেশ নিয়ে নাদাল বলেছেন, ‘ভিড়ের শব্দ বেশি। পরিবেশটি অনেক উপভোগ করি। মোটেও অভিযোগ করতে পারি না এটি নিয়ে। দেড়মাস আগেও জানতাম না টেনিস খেলব কি-না। ম্যাচ আজ বাইরে বা ভিতরে তা বিবেচ্য নয়। শুধু খেলতে এবং সেরাটা দিতে চেয়েছিলাম।’
‘অস্ট্রেলিয়ান ওপেন আমার কাছে সবকিছুর চেয়ে বেশি। ২০১২ সালে নোভাকের বিপক্ষে এবং ২০১৭ সালে রজারের বিপক্ষে ভালো ফাইনাল খেলেছি। ২০০৯ সালে একবার জেতার জন্য ভাগ্যবান ছিলাম। কিন্তু ২০২২ সালে আরেকটি সুযোগের কথা ভাবিনি। আজ শুধু জয় উপভোগ করব। তারপর আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।’