আগের রেকর্ডটি ১২ বছর পুরনো। শ্রীলঙ্কান ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও সনাথ জয়সুরিয়ার সেই রেকর্ড টপকে ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি গড়লেন ইমাম-উল হক ও ফখর জামান। দুই পাকিস্তানি ওপেনারের গড়া রেকর্ডের দিনে ইমাম শতক, আর ফখর দ্বিশতক তুলে নিয়েছেন।
বুলাওয়েতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুক্রবার ৩০৪ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছেন ফখর-ইমাম। থারাঙ্গা-জয়সুরিয়ার আগের রেকর্ড জুটিটি ছিল ২৮৬ রানের, ২০০৬ সালে লিডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
রেকর্ড জুটির পথে ইমাম ফিরেছেন ১২২ বলে ১১৩ রানের ইনিংস সাজিয়ে। সাজঘরে ফেরার সময় তার নামের পাশে ৮টি চারের মার। ক্যারিয়ারের অষ্টম ওয়ানডেতে এসেই তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন ২২ বছর বয়সী ইনজামাম-উল-হকের ভাতিজা।
পরে ওয়ানডে ক্রিকেটে অষ্টম ডাবল সেঞ্চুরি এসেছে ২৮ বছর বয়সী ফখরের ব্যাট ধরে। বিশ্বের ষষ্ঠ ও পাকিস্তানিদের মধ্যে প্রথম তিনি। ১৯৯৭ সালে চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে করা সাঈদ আনোয়ারের ১৯৭ রানই ছিল কোনো পাকিস্তানির সর্বোচ্চ ওয়ানডে ইনিংস।
চার মেরে মাইলফলকে পৌঁছান ফখর। ১৪৮ বলে ডাবল ছুঁয়েছেন। শেষপর্যন্ত ২১০ রানে অপরাজিত থাকেন বাঁহাতি এ ওপেনার। ২৪ চার ও ৫ ছক্কায় ১৫৬ বলের ইনিংস তার।
ওয়ানডের ডাবল-ক্লাব ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে (২০০*) দিয়ে শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে, ২০১৭ সালে আরেক ভারতীয় রোহিত শর্মার ডাবল ছিল আগের শেষটি। রোহিতের একারই ডাবল অবশ্য তিনটি, এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ ২৬৪ রানও তার।
এছাড়া নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল (২৩৭*), ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল (২১৫) এবং ভারতের বীরেন্দ্রর শেবাগের (২১৯) ওয়ানডে ডাবলের অভিজাত ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন।
ফখর-ইমামের দিনে শেষে ঝড় তুলেছিলেন আসিফ আলি। ২২ বলে ৫০ করে অপরাজিত থাকেন। তার ৫ চার ও ৩ ছক্কার ইনিংসে ৫০ ওভারে এক উইকেটে ৩৯৯ রানের সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান। যেটি দেশটির সর্বোচ্চ ওয়ানডে সংগ্রহ।