বাঙালীর গর্বের, গৌরবের মাস মার্চ। এ মাসেই ঘোষিত হয় বাঙালীর স্বাধীনতা, বাংলাদেশ নামের একটি নতুন দেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালী ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তির মরনপণ লড়াইয়ে। স্মৃতির মনিকোঠা থেকে ১৯৭১-এর মার্চের সেই দিনগুলোকে সবার কাছে তুলে ধরতে চ্যানেল আই সংবাদের আয়োজন, উত্তাল মার্চের এই দিনে।
উপদেষ্টাদের সঙ্গী করে ঢাকায় আসেন পাকিস্তান পিপলস পার্টি নেতা জুলফিকার আলী ভূট্টো। এসেই প্রেসিডেন্ট ভবনে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে। তীব্রতা পায় বিক্ষুব্ধ বাঙালীর অসহযোগ আন্দোলন। নারী-পুরুষ-কিশোরের সম্মিলিত মিছিলে ঢাকা যেন মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্লোগান তুললাম, ‘বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধরো বাংলাদেশ স্বাধীন করো, পাঞ্জাব না বাংলা, পিন্ডি না ঢাকা’ ‘আমার দেশ তোমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ ‘জাগো জাগো বাঙ্গালী জাগো, পদ্মা মেঘনা যমুনা তোমার আমার ঠিকানা’ এই সব স্লোগামে মুখরিত নকরেছি ঢাকার রাজপথ।
২৩ মার্চ প্রতিরোধ দিবস কর্মসূচির ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন সভা-সমাবেশ-শোভাযাত্রার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানায়। জেনারেল ইয়াহিয়া তার সামরিক উপদেষ্টাদের নিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে শেষ করছিলেন বাঙালীর ওপর সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি।
তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু খুব বিচক্ষণ নেতা ছিলেন, তিনি আমাদের তৈরি করলেন, জাতিকে তৈরি করলেন। যখন পাকিস্তান আমাদের আক্রমণ করলো তখন তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন।
এদিনও ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ। ৯০ মিনিটের এই আলোচনাও কোন সমাধান আনতে ব্যর্থ হয়।