রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফিরোজ আনামকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় শুক্রবার রাতে বাদী হয়ে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ফিরোজ। এতে অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে আসামি করা হলে পুলিশ ইতোমধ্যে ৩ জনকে আটক করেছে।
মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান এ বিষয়ে বলেন: রাতে মামলার দায়িত্ব পাওয়ার পর ইতোমধ্যে সন্দেহজনকভাবে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সম্পৃক্ততা পেলে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে আটকৃতদের পুরো পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না।
এর আগে শুক্রবার রাতে ছুরিকাঘাতের ঘটনা জানাজানি হলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা ছিনতাইকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় রাবির সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবীর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বললে আন্দোলনকারীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে এস আর কে রাজ ও কিশোর কুমার নামের দুই শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবীরের গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
জানা যায়: এস আর কে রাজ রাবি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সে রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী। কিশোর ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। পরে কিশোরকে তুলে নিয়ে যায় যায় ডিবি পুলিশ।
বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা ফের প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করে আন্দোলন করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রায় ৩০ মিনিট পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।