২৪ এপ্রিল ২০১৩। পোশাক শিল্পের ইতিহাসে ট্র্যাজেডির এক দিন। এদিন ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। বাংলাদেশের পোশাক খাতের দুর্বলতা আর অব্যবস্থাপনার প্রতীক হিসেবে বিধ্বস্ত রানা প্লাজা যেমন বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করে তেমনি পরের ৪ বছরে এ খাতের সংস্কার কর্মসূচি প্রশংসা পেয়েছে। সংস্কার কর্মসূচির নেতৃত্বে থাকা আইএলও বলছে, শক্ত অবস্থানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাত।
ঘটনার দিন সকাল ৮.৪৫ মিনিট। হঠাৎ ধ্বংস্তুপে পরিণত হয় সাভারের রানা প্লাজা। এ ঘটনায় জীবন হারান প্রায় ১২ শ’ পোশাক শ্রমিক। আহত হন আড়াই হাজার আর নিখোঁজ হন শতাধিক।
পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের ২৬টি ফ্যাশন হাউজের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত থাকা রানা প্লাজার শ্রমিকদের রক্তের দাগ লাগে লি, জয়োই, মার্ক ও স্টোয়ারমতো ব্রান্ডের পোশাকগুলোতে। এ ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে দেশের পোশাক খাতসহ বিশ্বের নামি দামি বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ।
এরপর পোশাক খাতের সংস্কারে আইএলও’র নেতৃত্বে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায় একোর্ড, এলায়েন্স। শুরু হয় সংস্কার কাজ। প্রাথমিকভাবে সাড়ে তিন হাজার কারখানাকে সংস্কার কর্সসূচির আওতায় আনা হয়।
শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে বর্তমান সংস্কার কর্মসূচিতে কারখানার মান উন্নয়নের উপর যতটা গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ততটা গুরুত্ব পাচ্ছে না শ্রমিক অধিকার।
২০১৮ সালের মধ্যে সংস্কারের বড় একটা অংশ শেষ হবে বলে জানিয়েছে আইএলও। তারা বলছে প্রাথমিক তালিকার বাইরে থাকা ছোট ও মাঝারি গার্মেন্টস কারখানাগুলোকেও আগামীতে সংস্কারের আওতায় আনা হবে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: