তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গঙ্গাচড়ার ৬ ইউনিয়নের ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে শতাধিক ঘর-বাড়ি, ফসলী জমি। ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি সহযোগিতা ও নদীতে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
শুক্রবার তিস্তার ডালিয়ায় পানি বেড়ে বিপদ সীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে গঙ্গাচড়ার নোহালী, কোলকোন্দ, লক্ষ্মীটারী, গজঘণ্টা, মর্ণেয়া, আলমবিদিতর ইউনিয়নের ২০ গ্রামের প্রায় ৭ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। পানির তীব্র স্রোত ও নদী ভাঙনে শতাধিক ঘর-বাড়ি, ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকে ঘর-বাড়ি সরিয়ে রাস্তায়, নদীর বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
পানির স্রোতে ভেঙে গেছে চরের পাশের সড়কগুলো। নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে পুরাতন শংকরদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়। শংকরদহ চরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম জোড়া ব্রীজ, মহিপুর-কাকিনা সড়কে আরেকটি ব্রীজের সংযোগ সড়কের কিছু অংশ পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। ভাঙন ঠেকাতে এলাকাবাসীর পাশাপাশি কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বন্যা ও ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।