ভবিষ্যতের বিভিন্ন আধুনিক গাড়ি নিয়ে জাপানে ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে টোকিও মোটর শো। এই আয়োজনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এখানে উদ্ভট তবে আকর্ষণীয় ডিজাইনের বিভিন্ন গাড়ির দেখা মেলে। এবারও বিভিন্ন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এখানে হাজির হয়েছে ভবিষ্যতের গাড়ি নিয়ে যেগুলোর পাগলাটে ডিজাইনের কারণেই নজর কাড়ছে সবার।
দর্শনার্থীদের অনেকেই হয়তো গাড়িগুলো দেখে মনে মনে বলেছেন, ‘এই গাড়িগুলো যদি আমার হতো! ‘
ডিজাইনের বাইরে ফিচারের দিকে আসলে কিন্তু এখনকার অত্যাধুনিক কিছু গাড়ির সাথে খুব একটা পার্থক্য পাওয়া যাবে না। এগুলো বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং সেইসাথে চালকবিহীন।
প্রদর্শনীতে দেখানো বিভিন্ন ধরনের গাড়ির মধ্যে আছে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক গাড়ি, পণ্য পৌঁছে দিতে ডেলিভারি পড, স্পোর্টস কার প্রভৃতি।
নিশান আইএমএক্স
মোটর শো’তে প্রদর্শন করা এই ইলেকট্রিক গাড়িটি একবার চার্জ দিলে ৬০০ কিলোমিটার চলবে, দাবি নিশানের। এই ফিচারটিই গাড়িটিকে বেশ এগিয়ে রাখবে টেসলা মডেল এক্স থেকে। তবে এর থেকেও দারুণ ফিচার আছে গাড়িটির। তা হলো গাড়িটি গান গেয়ে এর অস্তিত্ব জানান দেবে।
এছাড়া গাড়িটির ডিজাইনও বেশ অভিনব। এর দরজা দুটি অনেকটা ক্যাবিনেট স্টাইলের, মাঝখানে নেই কোনো পিলারও।
টয়োটা কনসেপ্ট আই
অনেকটা সায়েন্স ফিকশন ম্যুভিতে দেখানো গাড়ির মতোই টয়োটা কনসেপ্ট আই। ইলেকট্রিক গাড়ি তো বটেই, এর থেকেও বড় আকর্ষণ হলো গাড়িটিতে থাকছে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা। চালককে গাড়ি চালানোর সময় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করবে এই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা।
হোন্ডার স্পোর্টস ইভ কনসেপ্ট
ইলেকট্রিক ইঞ্জিন চালিত হোন্ডার এই গাড়িটি ছিল এবারের প্রদর্শনীর অন্যতম আকর্ষণ। ভবিষ্যতের স্পোর্টস কার হয়তো দেখতে এমনই হবে।
মাজদা ভিশন ক্যুপ
এলিট ডিজাইনের এই গাড়িটি এবার নজর কেড়েছে কমবেশি সবার। বিলাসবহুল সব সুবিধাই আছে এতে। গাড়িটি দেখলে মনে হতে পারে ভবিষ্যতের কোনো জেমস বন্ড মুভির গাড়ি।
কাই কনসেপ্ট হ্যাচব্যাক
মাজদার নেক্সট জেনারেশন কার হতে পারে এই হ্যাচব্যাকটির মতোই। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এর পরবর্তী প্রজন্মের স্কাইঅ্যাক্টিভ ভেহিকল আর্কিটেকচারের উপর ভিত্তি করে গাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। এতে ব্যবহৃত ইঞ্জিন স্কাইঅ্যাক্টিভ এক্স গ্যাসোলিন ইঞ্জিন ক্যাটাগরির।