যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিন স্থগিত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত ৪ সপ্তাহের জন্য রানার জামিন স্থগিত করে আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো: বশির উল্লাহ।
আর রানার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
এর আগে গত ৬ মার্চ এ মামলায় আমানুর রহমান খান রানাকে ছয় মাসের জামিন দেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এরপর জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এ মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে বের হয়ে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এর পরের বছর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করলে তা তদন্ত করে ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে পুলিশ।
পরে এ মামলায় গ্রেপ্তার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরন মিয়া গত বছর আদালতে জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দিতে তারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, এমপি আমানুর রহমান খান রানার নির্দেশেই যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিল।