মানবতাবিরোধী বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে রাজনৈতিক কুটকৌশল বলে মনে করেন অনেকে। যেসব মানুষ স্বজন হারিয়েছেন তাঁদের চিন্তায় আবেগ অধিক, রাজনীতি কম। যারা বলেন, ভাবতেই পারেন তাঁরা। ভাবনার স্বাধীনতা থাকবে বলেই তো একাত্তরের গণহত্যা, বুদ্ধিজীবি হত্যা, ধর্ষন, লুট ইত্যাদি সংগঠিত হয়েছিলো। তাই না!
এ বিষয়ে আমার কিছু কথা আছে। সবাইকে বাদ দিয়ে আজ স্বার্থপরের মত আমার ভাবনা তাঁদের জানাতে চাই আজ। চাষীর ভাবনা বলে ভেবে নিবেন। কিছু মনে করবেন না আশা করি।
একজন আলতাফ মাহমুদ, তার ছেলেবেলা থেকে শুধুমাত্র বৈষম্যহীন সমাজ আর স্বাধীন মতাদর্শে দেশ গড়বার তাগিদে সারাটা জীবন মিছিলে, সংগ্রামে, আন্দোলন বা প্রতিবাদে দিন পার করেছেন। যে কিনা সংগীতের বৃত্তে নিজেকে গুটিয়ে না রেখে দেশ স্বাধীনে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছিলেন একাত্তরে।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করবার বা রাজাকার হবার পথ রাজনৈতিক আবেগের প্রতিফলন। স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আগামীর জন্য স্বচ্ছ রাজনৈতিক ভাবনার পথ সুগম করবে জানি।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)