প্রকৃতির বৈরিতায় যশোরের হ্যাচারি মালিকেরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। সূর্যের খরতাপের পর বর্ষার প্লাবনও এসেছে তাদের জন্য অশুভ বার্তা নিয়ে। রেণু পোনা বা চারা মাছ বিক্রয়ে ধস নামায় এ বছর শোচনীয় পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন এই পেশায় সংশ্লিষ্টরা।
এ বছর তীব্র দাবদাহ ও খরায় রেণু পোনার মৌসুম দেরিতে শুরু হলেও বর্ষা নামতেই মৎস চাষীরা বাজার ধরার প্রস্তুতি নেন। হ্যাচারি মালিকরা তাদের সাধ্যমতো রেণু উৎপাদনও করেন। কিন্তু আষাড় মাসের শেষ দিকে কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে সব চারা মাছ ভেসে যায়। পুকুর প্লাবিত হওয়ায় ভেসে গেছে বড় মাছও।
স্থানীয় এক মৎস চাষী বলেন, প্রতিটি পুকুরে পাড় ধ্স নেমেছে। যেসব রেণু পোনা বা চারা পোণা আমরা তৈরি করেছিলাম সেসব বন্যায় ভেসে গেছে।
টানা বর্ষণের কারণে বেশিরভাগ পুকুর ও ডোবানালা পানিতে ভরে গেছে। ভেসে যাওয়ার ভয়ে খামারিরা রেণু পোনা বা চারা মাছ কোনটিই কিনছেন না।
আমরা এখন অসহায় অবস্থায় আছি বলে উল্লেখ করে একজন খামারি বলেন, আমাদের রেণু বিক্রি নেই একসময় পানির অভাবে আর এখন পানির কারণে বিক্রি নেই।
এ অবস্থায় বিপাকে পরেছেন হ্যাচারি মালিকরা। যশোরে হ্যাচারি মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ খান বলেন, যশোরে এবার মৎস চাষে আমাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। আমি মনে করি এর থেকে পরিত্রাণের উপায় এ বছর আমাদের কাছে আর নেই।
জেলার চাঁচড়ায় মাতৃ ফিশ হ্যাচারির স্বত্ত্বাধিকারী জাহিদুর রহমান গোলদার বলেন, কাস্টমাররা বাইরে থেকে আসতে পারছেন না। যার কারণে আমরা ডিম বিক্রি করতে পারছি না। তার ভেতরে দুয়েকজন কষ্ট করে দুয়েকটা পুকুর তৈরি করছে। ওই দুয়েকজন আসাতে হয়তো একেকটা হ্যাচারিতে দশ থেকে বিশ কেজি পরিমাণ বেচাকেনা হচ্ছে। যেখানে বেচাকেনা হতো একশো থেকে দুইশো কেজি পর্যন্ত।