‘মানসিক সঙ্গী’ হিসেবে এক বিরাট ময়ুরকে সঙ্গে নিয়ে প্লেনে উঠতে বাধা পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের এক প্লেন যাত্রী। এমনকি প্রিয় ময়ুরের জন্য তার আলাদা টিকেট কেনার প্রস্তাবও মেনে নেয়নি এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইন নীতিমালা অনুসারে কিছু কিছু যাত্রীকে আবেগীয় বা মানসিক সমস্যার থেরাপি হিসেবে সঙ্গে পোষা প্রাণী নিয়ে প্লেনে ভ্রমণ করতে দেয়া হয়। যদি সাম্প্রতিক সময়ে এই মানসিক সঙ্গী পশু-পাখিদের সাথে নিয়ে ভ্রমণ করার প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে।
কর্তৃপক্ষের ধারণা, বিশেষায়িত এই সুযোগের অপব্যবহার করছেন অনেকে।
তো সেই নিয়ম ধরেই রোববার নিউ জার্সির নিওয়ার্ক বিমানবন্দরে পোষা ‘মানসিক সঙ্গী’ ময়ুর ডেক্সটারকে সঙ্গে নিয়ে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে উঠতে চান এক নারী।
কিন্তু এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ জানায়, পাখিটার আকার এবং ওজনের কারণে তাদের নির্ধারিত গাউডলাইন অনুসারে ফ্লাইটে চড়ার অনুমতি দেয়া সম্ভব নয়।
ব্রুকলিনভিত্তিক ওই নারী চিত্রশিল্পী ভেন্টিকো অনেক জোরাজুরি করলেও রাজি হয়নি ইউনাইটেড এয়ারলাইনস। তাদের দাবি, নিওয়ার্কে আসার আগেই ভেন্টিকোকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেটা না মেনে পোষা ময়ুরকে নিয়ে হাজির হয়েছেন।
ফ্লাইটে চড়তে না দেয়ায় ভেন্টিকোর সেই মানসিক সঙ্গী ডেক্সটারকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বিমানবন্দরের একটি লাগেজ ট্রলির ওপর। পুরোটা সময় হতবাক এবং দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পাখিটিকে দেখেছেন বিমানবন্দরে আসা লোকজন।
বিমানবন্দরে অপেক্ষমান বিশালাকার চোখ ধাঁধানো সুন্দর ময়ুরটির ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন অনেকে। সেখানেও আশপাশের মানুষের অবাক দৃষ্টি দেখা গেছে। ছবিগুলো ভাইরাল হয়েছে ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে।
এর আগে ২০১৪ সালে ইউএস এয়ারওয়েজে এক নারী তার পোষা শুকর নিয়ে ফ্লাইটে ওঠার পর সেই শুকর প্লেন উড্ডয়নের আগেই পুরো প্লেনে মলত্যাগ করে ও চেঁচামেচি করে সবাইকে অতিষ্ঠ করে ফেলে। তখন ইউএস এয়ারওয়েজ সেই যাত্রীকে ফ্লাইট থেকে নামিয়ে দিতে বাধ্য হয়।