Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

ম্যাকগ্রার ভবিষ্যদ্বাণীতে আশেজের প্রথম টেস্ট

আর মাত্র দু’দিন বাকি। ১ অগস্ট থেকে বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার প্রথম অ্যাশেজ টেস্ট । তার আগে দলকে তাতাতে নেমে পড়লেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা। তার বক্তব্য, অন্য টেস্টের সঙ্গে অ্যাশেজের কোথাও একটা ফারাক থেকে যায়।

বিবিসিতে লেখা এক কলামে ম্যাকগ্রা লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম যাদের, যারা ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখে বড় হয়েছে, তাদের কাছে অ্যাশেজের আবেদন অন্যত্র। আমি জানি, সদ্য বিশ্বজয়ী ইংল্যান্ডের কাছে এই অ্যাশেজ নিয়ে বাড়তি উন্মাদনা থাকবে।’

এর পর ম্যাকগ্রা বলেছেন, ইংল্যান্ডের বর্তমান টেস্ট দলের পারফরম্যান্স ততটা ভালো নয়। মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সপ্তাহ খানেক আগে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ৮৫ রানে চার দিনের টেস্টের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের।

ম্যাকগ্রার মতে, ‘চার নম্বরে জো রুটই তাদের একমাত্র খেলোয়াড়। কিন্তু, তার আগে যারা এসেছিল, তারা সেটেল করতে পারেনি। আমি আমার ক্যারিয়ারে বল করেছি মাইকেল আথারটন, অ্যালেক স্টুয়ার্ট, নাসের হুসেইন, মাইকেল ভন এবং মার্কাস ট্রেসকোথিককে। আমি মনে করি না, বর্তমান দলে তাদের মতো একজনও ব্যাটসম্যান আছে, যে সিরিজের পর সিরিজ ধারাবাহিকতা দেখাতে পারে। তাই মনে হয়, প্রথম টেস্টেই আমরা তাদের হারাতে পারব। আর সেটা হলে ৭৫ শতাংশ লড়াইটা জেতা হয়ে গেল। সিরিজ জিতব কি না, এখনই বলা শক্ত। কিন্তু সেটা হলে দুর্দান্ত ব্যাপার হবে। তবে আমি এমন ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারব না।’

নিজের অ্যাশেজ স্মৃতি নিয়ে ম্যাকগ্রা লিখেছেন, ‘শীতের রাতে রেডিও শোনা, কিংবা টিভিতে সিনেমা দেখতে দেখতে অস্ট্রেলিয়ার ঝকঝকে সুর্যোদয়ের অপেক্ষা করা-এ সবই মনে পড়ে। ১৯৯৩ সালে আমি তখন অ্যাকাডেমির ছাত্র। সে সময় অ্যাশেজ দেখার স্মৃতি আজও মনে আছে। এরপর ১৯৯৭ সালে অস্ট্রেলিয়া যখন ইংল্যান্ডে খেলতে এল, তখন সেটাই ছিল আমার প্রথম ট্যুর। প্রথম টেস্টে কোনো কিছুই ঠিক মতো করতে পারিনি। বল লাইন এবং লেন্থে রাখতে সমস্যা হচ্ছিল। কোচ জিওফ মার্শ পরের দিন নেটে দু’ঘণ্টা বল করিয়েছিলেন আমাদের লাইন এবং লেন্থ ঠিক রাখার জন্য।’

Exit mobile version