‘মোস্তাফিজ এক ওভারে ১ রান দিয়ে একটা উইকেট নেবে, ওরকম সময়ে এটা কেউই বিশ্বাস করেনি। ঠিক সেরকমই রুবেলের ওভারটাতে এতো রান হবে, এটাও বিশ্বাস হয়নি। ক্রিকেট খেলায় এটা হয়েই যায়। এর থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
সোমবার কলম্বো থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আশা-নিরাশার দুটি ওভার নিয়ে এভাবেই বললেন মুশফিকুর রহিম।
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ১৬৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে এগোতে থাকা ভারতের শেষ তিন ওভারে দরকার পড়ে ৩৫ রান। তখনকার পরিস্থিতিতে এই রান টপকানো কঠিন মনে হচ্ছিল না। মায়াবী কাটারে ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্তিতে ফেলে ১ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়ে ১৮তম ওভার শেষ করেন মোস্তাফিজ, সেই রানটিও এসেছে বাই থেকে। পরে ১৯তম ওভারে ২২ রান দিয়ে ফেলেন রুবেল হোসেন। শেষ ওভারে অনিয়মিত বোলার সৌম্য সরকার প্রাণপণে লড়েও ১২ রান আটকাতে পারেননি। শেষ বলে ৫ দরকার ছিল, ছক্কায় ভারতকে নিধাস ট্রফি জেতান দিনেশ কার্তিক।
বাংলাদেশের ফাইনাল জেতা না হলেও পুরো টুর্নামেন্টে অনেক প্রাপ্তি দেখছেন মুশফিক, ‘এই কয়টাদিন আমরা যেভাবে ক্রিকেট খেলেছি, ম্যাচ জিতেছি, পুরো বাংলাদেশ দল কৃতিত্ব পাওয়ার যোগ্য। হোম সিরিজে টি-টুয়েন্টিতে আমরা যেভাবে হেরেছিলাম শ্রীলঙ্কার সঙ্গে, এরপর ওদের মাটিতে এভাবে জেতা অনেক বড় প্রাপ্তি।’
‘দুটি ম্যাচ আমরা জিতেছি(শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে), ওই দুটি ম্যাচ খুবই ক্লোজ ছিল। ঘরের মাঠে ক্লোজ ম্যাচ দুটি আমরা জিততে পারিনি, কিন্তু ওখানে ওভারকাম করে জিতেছি। এটাও আমাদের নতুন প্রাপ্তি। পুরো টি-টুয়েন্টি সিরিজে ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলতে পেরেছি আমরা। এটা প্লাস পয়েন্ট। যেটা আমরা এর আগে করতে পারিনি। এই বছর টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে করতে পারছিলাম না এ পারফরম্যান্সগুলো।’
হারের কারণ হিসেবে রুবেলের ২২ রানের ওভার অনেকটাই দায়ী হবে। তবে মুশফিক তা মনে করেন না, ‘আমি মনে করি না, এটা শুধু একজনের জন্যই হয়েছে। বোলাররা মিলে যদি ১ বা ২টা রান কম দিতে পারতাম, কিংবা ব্যাটসম্যানরা যদি আরও ১০টা রান বেশি করতে পারতাম। এটা দলীয় খেলা, একজনের ব্যর্থতা মানে সবারই ব্যর্থতা। এই ম্যাচ থেকে আমাদের শিক্ষা ছাড়া অন্যকিছু নেয়ার নেই। চেষ্টা করবো পরবর্তীতে শিক্ষাটা কাজে লাগাতে।’