নিজেদের জিতলেই হত না, রাতের অন্য ম্যাচে রিয়ালকেও হারতে হত; তবেই মিলত টানা তৃতীয় লা লিগা শিরোপার স্বাদ। রিয়াল ঠিকঠাক নিজেদের কাজটা সেরে ফেলায় শিরোপা জয়ের সুযোগ হয়নি। তবে নিজেদের কাজটাই যেন ঠিকঠাক করতে ভুলতে বসেছিল বার্সেলোনা। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মেসি পেনাল্টি মিস করে ডোবাচ্ছিলেন, পরে অবশ্য সেই মেসির জোড়া গোলেই জয়ের পথ সুগম হয়েছে। সঙ্গে গোল করেছেন সুয়ারেজও।
লুইস এনরিকের দল ন্যু ক্যাম্পে রোববার রাতে এইবারকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে। একই রাতে মালাগার মাঠে ২-০ গোলের জিতে পাঁচ বছর পর শিরোপার উৎসবে মেতেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের সাত মিনিটে এইবারের মিডফিল্ডার তাকাশি ইনুইয়ের গোলে পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা। পরের মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া করেন লুইস সুয়ারেজ।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে এইবারের ত্রাতা গোলরক্ষক ইয়োল রদ্রিগেজ। এসময় ইভান রাকিটিচের ভলিতে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান তিনি। ৩৭ মিনিটে সুয়ারেজের শটেও ইয়োলই বাধা হয়ে দাঁড়ান।
সুযোগ নষ্ট করার মাঝেই আরেকটি ধাক্কা খেতে বসেছিল বার্সা। বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেনের বোকামিতে বল পেয়েও জাল খুঁজে নিতে পারেননি অতিথিদের রুবেন পেনা।
কিন্তু বিরতির পর আর রক্ষা মেলেনি। ৬১ মিনিটে ইনুইয়ের গোলেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে এইবার। তবে ৬৩ মিনিটে অতিথিদের আত্মঘাতী গোলে কপাল ফিরতে শুরু করে স্বাগতিকদের। নেইমারের শট পোস্টে লেগে ফিরে ডেভিড জুনকার শরীরে লেগে জালে জড়িয়ে যায়।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে সমতার সুযোগ হাতছাড়া করেন মেসি। জর্ডি আলবাকে ফাউল করে বার্সাকে পেনাল্টি দেয় এইবার। যদিও রেফারির স্পট কিকের সিদ্ধান্তটি টিভি রিপ্লেতে বিতর্কিতই মনে হয়েছে। মেসির নেয়া সেই পেনাল্টি আবার ঠেকিয়ে নায়ক বনে যান রদ্রিগেজ।
এর তিন মিনিট পরই সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। এসময় পাকো আলকাসেরের হেডে বল পেয়ে আলতো টাচে জাল খুঁজে নেন সুয়ারেজ। ৭৫ মিনিটে বার্সাকে এগিয়ে দেন মেসি। নেইমারকে বক্সে ফাউল করেছিলেন আন্দ্রের কাপা। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান, আর দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে কাপাকে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন। মেসি ভুল না করে জাল খুঁজে নেন।
পরে ম্যাচের যোগ করা সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এবারের লিগে এটি তার ৩৭তম গোল ও সর্বোচ্চ; সুয়ারেজ ২৯ গোল করে আছেন দুইয়ে। তিনে শিরোপা জেতা রোনলদোর গোল ২৫টি।