লিওনেল মেসি আর বার্সেলোনাকে ঘিরে কেচ্ছা-কাহিনী দিন দিন বাড়ছেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া তো দূরের কথা, জল ক্রমেই ঘোলা হচ্ছে আরও বেশি করে। অবস্থা এখন এমন যে, মেসি যদি শেষপর্যন্ত চলেই যান তাহলে জেলেও যেতে হতে পারে বার্সা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তেমেউকে!
মেসি-বার্সা পরিস্থিতির দিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন সাংবাদিক গিলেম বালাগ। সময় সময় তার টুইট বলে দিচ্ছে কোনদিকে গড়াচ্ছে মেসি-বার্সা সম্পর্ক। গিলেমই জানিয়েছেন, দলের সেরা তারকাকে ছেড়ে দিলে কঠিন বিপদে পড়তে পারেন বার্তেমেউ।
কঠিন বিপদে অবশ্য আগে থেকেই পড়ে আছেন বার্তেমেউ। ক্লাবটির ইতিহাসে আর কোনো সভাপতি এত জনরোষের শিকার হয়েছেন কিনা তা খোঁজার জন্য ইতিহাস ঘাটতে হচ্ছে। সবশেষ পাঁচ বছর ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে না পারা, ভালো একটা দল গড়তে ব্যর্থ হওয়া, খেলোয়াড়দের নামে কুৎসা রটানো থেকে শুরু করে অসংখ্য অভিযোগ আছে বার্তেমেউয়ের বিপক্ষে। তিনি এখন ক্লাব সমর্থকদের কাছে গণশত্রু!
সেই গণশত্রুকে তাড়াতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বার্সা সমর্থকরা। এরইমধ্যে সাড়ে ১৬ হাজার স্বাক্ষর গ্রহণ হয়ে গেছে। ফলে এখন গণভোট হতে পারে। তাতে নির্ধারণ হতে পারে সভাপতির পদে বার্তেমেউ থাকবেন কিনা। যদি ‘না’ ভোট জয়যুক্ত হয়, বার্তেমেউকে তাড়িয়ে আগেই হয়ে যাবে বার্সেলোনার নতুন সভাপতি নির্বাচন।
সভাপতির পদে থাকুন বা না-থাকুন, বার্তেমেউ বিপদ এড়াতে পারবেন না বলেই জানাচ্ছেন গিলেম বালাগ। ক্লাবের সেরা সম্পদকে ‘ভুল পথে পরিচালিত করে বিদায় করা বা বিক্রি করে দেয়া’র দায়ে তার নামে মামলা ঠুকতে পারেন সমর্থকরা, এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি।
ব্যাপারটা হচ্ছে দলের খেলা দেখাদেখির পাশে দর্শকরা মাঠে আসেন প্রিয় তারকাকে দেখতেও। মেসি যে বার্সা সমর্থকদের কাছে ঈশ্বর-সমতুল্য তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেকে পুরো মৌসুমের টিকিট কিনে রাখেন অগ্রিমভাবে। মেসিই যদি না থাকেন তাহলে ক্ষিপ্ত দর্শকরা টিকিটের টাকাও দাবি করে বসতে পারেন। অনেকে দাবি করতে পারেন বার্তেমেউয়ের অক্ষমতার কারণেই বার্সা ছেড়েছেন মেসি। সেই অভিযোগে মামলা করাও অস্বাভাবিক নয়।
মামলা হলে অস্বাভাবিক রকমের অর্থ নিজ পকেট থেকে ঢালতে হবে বার্তেমেউকে, দিতে না পারলে জেলের ঘানি টানতে হতে পারে। সেই অবস্থা থেকে বেঁচে ফেরার জন্য বার্তেমেউয়ের এখন একটাই পথ আছে বলে জানাচ্ছেন বালাগ, সেটি হল ‘মেসিকে ধরে রাখার জন্য শেষপর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া!’