সিনেমা শেষ। দর্শক তখনও বসে। তাদের চোখে মুখে তখন তৃপ্তির ছাপ। বহুদিন পর ভালো একটা দেশীয় ছবি দেখার তৃপ্তি। গ্রামীণ পটভূমিতে থ্রিলার গল্প দেখার তৃপ্তি, প্রেম ও সম্পর্কের অপূর্ণতা পর্দায় দেখার তৃপ্তি।
সিনেমা শেষে হল থেকে বের হওয়ার সময় দর্শকের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছিল কয়েকটি বাক্য। ‘অনেকদিন পর চমৎকার গল্প ও ঝকঝকে দৃশ্যের সিনেমা দেখলাম’।
কেউ কেউ বলছিলেন, ‘যারা অভিনয় করছেন প্রত্যেকেই দুর্দান্তভাবে নিজেদের মেলে ধরেছেন’। পাশাপাশি পরিচালক নিয়ামুল মুক্তার নির্মাণ মুন্সিয়ানার তারিফ করছিলেন দর্শক।
বলছি, শুক্রবার মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘কাঠবিড়ালী’র কথা। স্টার সিনেপ্লেক্সে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের শো দেখার পর অধিকাংশ দর্শকের সাথে আলাপ করলে, তারা ‘কাঠবিড়ালী’ ছবির প্রশংসা করেন।
দর্শকদের অভিমত, গ্রামীণ আবহের গল্পে থ্রিলার পাওয়া গেছে। এর পাশাপাশি ক্যামেরার কাজ, শিল্পীদের অভিনয় সবকিছুই মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। গ্রামীণ পটভূমিতে কেউ কেউ আবার মিষ্টি প্রেমের স্বাদ পেয়েছেন।
শো শেষে দেখা হয় পরিচালক নিয়ামুল মুক্তার সাথে। তিনি বলেন, দর্শকদের জন্য অনেক শ্রম দিয়ে ছবি বানিয়েছি। তারা প্রশংসা করছেন, এটাই স্বার্থকতা। তাদের কাছে অনুরোধ যদি এই ভালো লাগার কথা আরও ১০ জনকে ছড়িয়ে দিতে।
স্টার সিনেপ্লেক্সের সিনিয়র ম্যানেজার মেজবাহউদ্দিন আহমেদ ‘কাঠবিড়ালী’ প্রসঙ্গে বলেন, দর্শক ভালো গল্পের ছবি চায়। এটি তেমনই ছবি। শুক্রবার দুটি শো দেখে যেসব দর্শক হল বের হচ্ছেন তারাই প্রশংসা করছেন।
ছবিটি মোট ১৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেন পরিচালক। নির্মাতা বলেন, ঢাকার ৭টি এবং ঢাকার বাইরে ১১টি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে।
কাঠবিড়ালীর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্চিতা স্পর্শিয়া। আরও আছেন আবির, শাওন জামান, শিল্পী সরকার অপু, হিন্দোল রায় প্রমুখ।