সচিবের কারণে মুক্তিযোদ্ধার আত্নহত্যার ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে এতোদিন সবাই জানলেও আসলে কোনো তদন্ত হচ্ছে না। তদন্তের কথাকে ‘মিসকমিউনিকেশন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শেখ মিজানুর রহমান। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেছেন, তিনি ঘটনার তদন্ত করছেন না, বরং তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ করছেন।
এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, হয়তো কোথাও একটা মিসকমিউনিকেশন হচ্ছে। আমি বিষয়টা পরিষ্কার করি। আমি কিন্তু সচিবের ব্যাপারে তদন্ত করছি না। করতে পারিও না। জুনিয়র একজন হয়ে সিনিয়র কারো বিষয়ে তদন্ত করা যায় না। আমি মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানান তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করছি।
‘পত্রিকা থেকে হোক, অথবা আশপাশের এলাকা থেকে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সেগুলো একত্রিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমাকে। আমি সেটাই করছি। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজে আগেও আমি চট্টগ্রামে এসেছি, এখনো আমি এখানেই আছি,’ উল্লেখ করে তিনি একাধিকবার মুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব খানের বাড়ি পরিদর্শন করে তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান।
সংগ্রহের কাজ শেষ করে আজকালের মধ্যেই সব তথ্য উপাত্ত তিনি জমা দিয়ে দেবেন বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শেখ মিজানুর রহমান।
তদন্তের বিষয়ে তা হলে কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার আত্নহত্যার ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তাই সেটা তদন্ত করবে শাহবাগ থানা পুলিশ আর পুরো ঘটনার তদন্ত করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
‘পুলিশের বাইরে তদন্তের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যাকে দায়িত্ব দেবে তিনি সেই তদন্ত পরিচালনা করবেন,’ বলে জানান শেখ মিজানুর রহমান।