১৯৭১ এর মার্চে সময় যতো গড়াচ্ছিল ততোই মুক্তিকামী মানুষের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠছিলো দেশ। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু করে এদেশের মানুষ। এদিনও সামরিক জান্তার গুলিতে হতাহত হয় বহু বাঙালি।
সারা বাংলায় অব্যাহত বাঙালি প্রতিরোধ। সেনাবাহিনীর গুলিতে টঙ্গী শিল্প এলাকায় শহীদ হন কমপক্ষে চারজন।
আহত ২০ জনেরও বেশি। বিক্ষুব্ধ জনতা টঙ্গী ব্রিজের কাঠের অংশ উপড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয় রাস্তা। চট্টগ্রামে বাঙালি-বিহারি সংঘর্ষ এবং সামরিক জান্তার গুলিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় বাইশ জনে।
রাজশাহী ও যশোরেও মুক্তিকামী মানুষের মিছিলে সেনাবাহিনীর গুলিতে হতাহত হয় অনেক।
দুপুরে বায়তুল মোকররম মসজিদের সামনে থেকে ‘বাঁশের লাঠি তৈরি কর-পূর্ব বাংলা স্বাধীন কর’ স্লোগান নিয়ে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ বের করে বিশাল লাঠি মিছিলের কথা জানিয়েছে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম।
ঢাকায় এদিন ছাত্রলীগের লাঠি মিছিলে অংশ নেয় স্বতঃস্ফুর্ত জনতা। একাত্মতা ঘোষণা করে ডক্টর আহমদ শরীফের নেতৃত্বে শহীদ মিনারে শপথ নেন ঢাকার লেখক-শিল্পীরা।
এ দেশের মুক্তিকামী মানুষ উপলব্ধি করতে থাকে পাকিস্তানি হানাদারদের কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার একমাত্র পথ সশস্ত্র সংগ্রাম।