গত ৩৫ বছরে মিষ্টি আলুর ৩৫টি জাত উদ্ভাবিত হলেও কৃষকের মাঠে যায়নি এর অর্ধেকও। সমস্যা কাটাতে এ ফসলের মান ও এর মূল্যায়নের ওপর জোর দিয়েছে আন্তর্জাতিক আলু গবেষণা কেন্দ্র ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট।
শিশুর রাতকানা রোগ ও অন্ধত্ব দূর করতে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুর বিকল্প নেই। কিন্তু এই সহজলভ্য ফসলটি উৎপাদনে কৃষকের তেমন আগ্রহ গড়ে ওঠেনি। আর আগ্রহ গড়ে না ওঠার কারণ খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘যদি কৃষককে সাথে নিয়ে উদ্ভাবনের কাজটা করি তাহলে হয়তো বা জাতগুলো কৃষকের কাছাকাছি যাবে।’
সিআইপির সেক্টর লিডার ড. শফিউর রহমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আলু গবেষণা কেন্দ্রের উদ্ভাবনী জাতগুলো কৃষকের পৌঁছালে এটি আরো সম্প্রসারিত হবে।’
বিডার ও সম্প্রসারণ কর্মীদের পাশাপাশি কৃষকদের নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে এ সংস্থা দুটি। বরিশালের রহমতপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটে মিষ্টি আলুর জার্মপ্লাজম বিষয়ক কর্মশালায় এ তথ্য দেয়া হয় কৃষককে।
একজন কৃষক বলেন, ‘এখানে আমি নানা রকম আলু দেখেছি। এর মধ্যে যেটার ভেতরে বেশি আমিষ আছে এবং জাত উন্নত আমি সেটাকে ভোট দিয়েছি।’ ইউএসএআইডি’র এই প্রকল্পটিতে দক্ষিণাঞ্চলে এক লাখ লোকের আয় বৃদ্ধি, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য অবস্থার উন্নয়নের কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে।