টেস্ট দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু হওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ খেলে চলেছেন ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টিতেও। কিন্তু টেস্টের মতো বাকি দুই ফরম্যাটে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারছেন না এ অফস্পিনার। কেন পারছেন না সেই কারণও বের করে ফেলেছেন। উপলব্ধি, মানসিকভাবে আরও অনেক শক্ত হতে হবে।
রোববার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে জিম করতে এসে নতুন এই উপলব্ধির কথা জানালেন মিরাজ।
১২ টেস্টে মিরাজ নিয়েছেন ৪৮ উইকেট। ৮ ওয়ানডেতে সেখানে মাত্র ৭ উইকেট। টি-টুয়েন্টিতে আরও বাজে অবস্থা, ৮ ম্যাচে উইকেট মোটে ৩টি। দেড় বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুবাদে মিরাজের বোঝা হয়ে গেছে ফরম্যাট অনুযায়ী বোলিং ভিন্নতার ব্যাপারটি। মনে করছেন, সেটি নিয়েই এখন আরও কাজ করতে হবে।
‘একেকটা ফরম্যাট একেকরকম। টেস্টে যেমন অনেক ধৈর্য সহকারে একটা জায়গায় অনেকক্ষণ বোলিং করতে হয়। ওয়ানডেতে অনেক বৈচিত্র্য দরকার হয় রান বেধে রাখার জন্য। টি-টুয়েন্টি পুরোই ভিন্ন, ব্যাটসম্যান সবসময় আক্রমণাত্মক থাকে চার-ছক্কা মারার জন্য। এক রান দিলে ভাল, ডট দিলে বেশি ভাল। একেক ফরম্যাটে একেকরকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। মানসিকভাবে আরও অনেক শক্ত হতে হবে। নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করছি তা গুরুত্বপূর্ণ।’
২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে স্বাগতিক দলের নেতৃত্বে ছিলেন মিরাজ। ব্যাটিং করতেন ৪-৫ নম্বরে। নিখাত এক অলরাউন্ডারের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছিল সেসময়। কিন্তু জাতীয় দলে ৮/৯ নম্বরে ব্যাট করেন। তাতে অবশ্য আক্ষেপ নেই মিরাজের। ২০ বছরের এ তরুণ মনে করছেন সিনিয়র হলে একসময় উপরে ব্যাট করার দায়িত্বও নিতে হবে।
‘আক্ষেপ নেই। আমার চেয়ে অনেক ভাল ভাল ব্যাটসম্যান বাংলাদেশ দলে আছে। দীর্ঘদিন ধরে খেলছেন। সামনে অনেক সুযোগ আছে। একটা সময় আমরা যখন সিনিয়র হবো, তখন দায়িত্ব থাকবে। এখন যে জায়গায় খেলছি ঠিক আছে। টিম কম্বিনেশনের জন্যই এমনটা হচ্ছে। যে জায়গায়ই ব্যাটিং করি আক্ষেপ নেই। দলের জন্য ১০টা রান করেও যদি অবদান রাখতে পারি, আমার কাছে ওটাই খুব ভাল লাগে।’