মেহেদী হাসান মিরাজের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল দুর্দান্ত। ঘরের মাঠে অভিষেক সিরিজ করে রেখেছিলেন স্মরণীয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রামে অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট। মিরপুরে পরের টেস্টে দুই ইনিংসে ১২ উইকেট। দুই টেস্টের সিরিজে ১৯ উইকেট নিয়ে রেকর্ডের পাতায় ১৯ বর্ষী এই তরুণ। সাদা পোশাকের সেই যাত্রাটা রঙিন পোশাকে টেনে আনার সুযোগ মিলল মিরাজের। শনিবার ডাম্বুলায় ওয়ানডে অভিষেক হয়ে গেল তার।
টেস্ট দলে নিয়মিতই ছিলেন অফস্পিন-অলরাউন্ডার। সাত টেস্টে ৩৫ উইকেট। ব্যাটেও আত্মবিশ্বাসী কয়েকটি ইনিংস ছিল। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই শুরু হলো মিরাজের ওয়ানডে যাত্রা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ক্যাপ উঠেছে মিরাজের মাথায়। ডাম্বুলার রনগিরি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মিরাজের মাথায় ক্যাপ পড়িয়ে দেন আরেক অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশের ১২৩তম ওয়ানডে ক্রিকেটার হিসেবে অভিষিক্ত হলেন মিরাজ। এর আগে নিউজিল্যান্ডে সবশেষ সিরিজে অভিষিক্ত হয়েছিলেন লেগস্পিনার তানবীর হায়দার।
ওয়ানডে অভিষেকও কী রাঙাবেন মিরাজ? দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে এরইমধ্যে টিম ম্যানেজম্যান্ট ও ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন খুলনার ছেলে। তার ওয়ানডে অভিষেক কেমন হয় কৌতূহল নিয়ে সেটি দেখার অপেক্ষায় টাইগারপ্রেমীরা।
কয়েকদিন আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দারুণ বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতে অবদান রেখেছিলেন মিরাজ। তারই ফলশ্রুতিতে হঠাৎ ওয়ানেড দলে পড়ে ডাক।
ব্যাট-বলে পারদর্শী মিরাজ বড় মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। ঘরের মাঠে ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হন অলরাউন্ড নৈপুণ্যে। সম্ভাবনাময় এই তরুণ বছরখানেকের মধ্যেই মুশফিক ও মাশরাফির দলের ভরসার নাম হয়ে উঠার পথে আছেন।