সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত ও হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ বসছেন না।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মাহমুদুল আমীন চৌধুরীর দ্বিতীয় জানাযার সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন: আজ কোর্ট বসছেন না।
জানাযায় সাবেক প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন ও সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীনসহ আইনজীবীরা অংশ নেন।
জানাযা শেষে প্রধান বিচারপতির পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এর আগে আজ সকালে ধানমন্ডিতে মাহমুদুল আমীন চৌধুরীর প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সিলেটে নিজ জন্মস্থানে তৃতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় শাহী দরগায় তাকে দাফন করা হবে।
রোববার বাদ মাগরিব রাজধানীতে নিজ বাসায় বার্ধক্যজনিত কারণে মাহমুদুল আমীন চৌধুরী ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। মৃত্যুর সময় তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে বিচারপতি লতিফুর রহমানের অবসর গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরীকে দেশের ১১তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন। ২০০১ সালের ১ মার্চ তিনি প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করে ২০০২ সালের ১৭ জুন অবসর গ্রহণ করেন।
মাহমুদুল আমিন চৌধুরীর সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে মেট্রিকুলেশন এবং এমসি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভের পর ঢাকা সিটি ল’ কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে আইনজীবী হিসেবে সিলেট জেলা বারে যোগ দেয়া মাহমুদুল চৌধুরী ১৯৮৭ সালের জানুয়ারিতে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন এবং ১৯৯৯ সালে আপীল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন। এরপর হন দেশের প্রধান বিচারপতি।
মাহমুদুল আমিন চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ জুন। তার পিতার নাম আব্দুল গফুর চৌধুরী। তিনি ছিলেন সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।