প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কবি মাহবুবুল হক শাকিলের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
স্মৃতিচারণ পর্বে বক্তারা মাহবুবুল হক শাকিলকে একজন মানবতাবাদী উদার রাজনীতিবিদ হিসেবে উল্লেখ করেন। মিলাদ শেষে অনুষ্ঠিত বিশেষ মোনাজাতে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
শাকিলের পরম সুহৃদদের সংগঠন ‘মাহবুবুল হক শাকিল সংসদ’ এর পক্ষ থেকে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে মাহবুবুল হক শাকিল-এর সকল বন্ধু, সতীর্থ, সহযোদ্ধা, সহকর্মী, অগ্রজ-অনুজ, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে ঢাবি উপাচার্য, নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক ছাত্রনেতা মোল্লা আবু কাওসার, ইসহাক আলী খান পান্না, লিয়াকত শিকদার, আফজালুর রহমান বাবু, গোলাম কবির রব্বানী চিনু, এইচ এম মাসুদ দুলাল, শেখ সোহেল রানা টিপু, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, বদিউজ্জামান সোহাগ, রাসেদুল মাহমুদ। ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি-সম্পাদকও সাধারণ সম্পাদক, ঢাবি শাখা সভাপতি-সম্পাদক, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল কর্মকর্তা খুরশিদ উল আলমসহ অসংখ্য মুসল্লী।
গত বছরের ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশানে একটি রেস্তোরাঁ থেকে মাহবুবুল হক শাকিলকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
১৯৬৮ সালের ২০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলে নানার বাড়িতে শাকিলের জন্ম। ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের মেধাবী ছাত্র মাহবুবুল হক শাকিল ১৯৮৪ সালে এসএসসি পাশ করেন। আনন্দ মোহন কলেজে ভর্তি হবার পর যোগ দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে।
১৯৮৬ সালে এইচএসসি পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯০ সালে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ১৯৯১ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করেন।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সক্রিয় অংশগ্রহণকারী শাকিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
২০০২ সালে আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সিআরআই-এর শুরুর যাত্রা থেকে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জড়িত ছিলেন শাকিল। ২০০১-২০০৬ সালের বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার প্রেস সহকারীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সর্বশেষ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতিরিক্ত সচিবের মর্যাদায় বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মাহবুবুল হক শাকিলের রয়েছে তিনটি কাব্যগ্রন্থ- খেরোখাতার পাতা থেকে, মন খারাপের গাড়ি ও জলে খুঁজি ধাতব মুদ্রা। তার মৃত্যুর পর ‘ফেরা না ফেরার গল্প’ শিরোনামে একটি ছোটগল্পের সংকলন প্রকাশ করা হয়েছে।