নির্ধারিত ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন, বায়রার দুই অংশের মধ্যে চলছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তের দাবি জানিয়েছে একটি অংশ। তবে অভিযুক্ত এজেন্সিগুলোর একাশেংর দাবি, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। মালয়েশিয়ার সাথে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ অর্থনীতিবিদদের।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বেশি টাকা নেয়ার অভিযোগে মালয়েশিয়া শ্রমিক না নেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলে এনিয়ে চলছে নানান জল্পনা কল্পনা।
মালয়েশিয়া সরকারের করা অভিযোগের তদন্তের দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার সদস্যদের একটি অংশ। তাদের অভিযোগ, আসন্ন বায়রা নির্বাচন বানচালে পেশিশক্তি ব্যবহার করছে অভিযুক্ত ১০টি এজেন্সি।
অভিযোগ অস্বীকার করে ১০ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল।
এ পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি অব্যাহত রাখতে সরকারের পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
গত ২৮ আগস্ট রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্টস আরবিএমের অনুষ্ঠানে জনশক্তি রপ্তানিতে বাধাসৃষ্টিকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী।
গত ২১ আগস্ট নির্ধারিত ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে শ্রমিক না নেয়ার সিদ্ধান্ত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে চিঠিতে জানিয়ে দেয় বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দেশ মালয়েশিয়া।