মালিতে জঙ্গি হামলায় জাতিসংঘের পাঁচজন শান্তিরক্ষী সদস্য সহ অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে। দেশটির মধ্যঞ্চলীয় শহর সেভারির একটি হোটেলে হামলা চালায় জঙ্গিরা।
পাঁচ সদস্য নিহত হওয়া ছাড়াও জাতিসংঘের আরো চার সদস্যকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। হামলার ২৪ ঘণ্টার পর ওই চারজনকে একটি কাঠের আলমারির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। তারা নিজেদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। মালিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের সেনা সদস্য থাকলেও তারা সবাই নিরাপদে আছেন।
প্রথমে একটি সেনাঘাটিতে হামলার পর হোটেল আক্রমণ করে জঙ্গিরা। পরে মালির সরকারি সেনারা এসে জিম্মি দুঃদর্শার অবসান ঘটান। কোনো পক্ষ এখনো হামলার দায় স্বীকার করেনি।
সংঘর্ষে তিন বন্দুক নিহত ও সাতজনকে আট করা হয়েছে। এসময় সরকারি বাহিনীর পাঁচ সেনা নিহত হয়।
মালিতে জাতিসংঘের শাস্তিরক্ষী মিশন ‘মাইনুসমা’ এক বিবৃতিতে জানায়, নিহতদের মধ্যে দুইজন ইউক্রেনীয়, একজন নেপালি, একজন সাউথ আফ্রিকান ও অপরজন মালির নাগরিক।
নাগরিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে সাউথ আফ্রিকা। আর ইউক্রেন জানিয়েছে, ওই ঘটনায় তাদের চারজন নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এরমধ্যে এক জন মারা গেছে।
রাজধানী বামাকো থেকে বিবিসি’র সংবাদদাতা অ্যালেক্স ডুভাল স্মিথ জানান, গত কয়েক বছর ধরেই ইসলামী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে মালি সরকার। গত কয়েক মাস ধরে বিদ্রোহীরা দেশটির উত্তরাঞ্চলে নজর দিয়েছে। এখানে ফ্রান্স ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ঘাটি রয়েছে।
২০১৩ সালের জুলাই থেকে মালির নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয় ফ্রান্স ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী। একই বছরের জানুয়ারিতে ইসলামী বিদ্রোহীরা রাজধানী বামাকোর দিকে অগ্রসর হওয়া ঘোষণা দিলে হস্তক্ষেপ করে দেশটির সাবেক উপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স।