নব্বই দশকের শেষ দিক থেকে শুরু করে গেল দশকের শুরুর দিক পর্যন্ত ‘মার্শাল আর্ট’ নির্ভর ছবি করে বাংলা চলচ্চিত্রে নতুনধারা তৈরি করেছিলেন যিনি, সেই ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলমের কথা মনে আছে?
ক্যারাটে মাস্টার, লড়াকু, মাস্টার সামুরাই, পেশাদার খুনী, কুংফু কন্যা, কুংফু নায়ক, ওস্তাদ সাগরেদ, প্রেমিক রংবাজ এসব ছবি করে তুমুল জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন। ২০০০ সালের পরবর্তী সময়ে চলচ্চিত্রে যখন অশ্লীলতা গ্রাস করে তখন তিনি ধীরে ধীরে দূরে সরে যান চলচ্চিত্র থেকে। দীর্ঘ বিরতি ভেঙে আবার চলচ্চিত্রে ফিরছেন একসময়ের জনপ্রিয় ‘মারকাটারি’ চিত্রনায়ক, প্রযোজক ও পরিচালক ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম। আবারও তিনি মার্শাল আর্টের ছবি নিয়ে চলচ্চিত্রে কামব্যাক করছেন।
আট বছর আগে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম কক্সবাজার কলাতলীতে একটি রিসোর্ট চালু করেছেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন। মুঠোফোনে কক্সবাজার থেকে মঙ্গলবার দুপুরে চ্যানেল আই অনলাইনকে চলচ্চিত্রে ফেরার কথা জানান তিনি।
চলচ্চিত্রে ফিরছেন জানিয়ে তিনি বলেন, শিগগির আবার চলচ্চিত্রে আসছি। ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমানে নতুন ছবির গল্প ও চিত্রনাট্যের কাজ চলছে। জানুয়ারি মাসের শুরুতেই ছবির কাজ শুরু হবে। ছবির গল্পে মার্শাল আর্টকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে নাম রাখা হয়েছে ‘ডিজিটাল প্রেম’। আমি নিজেই প্রযোজনা, পরিচালনা এবং অভিনয় করবো। ডিসেম্বরে বাকি শিল্পীদের চূড়ান্ত করবো।
তিনি বলেন, মার্শাল আর্টের ছবি বানাতে পারলে চলবে। সেখানে শিক্ষামূলক ও ফ্যামিলি ড্রামা রাখলে চলবে। যেখানে থেকে মানুষ বিনোদন পাবে এবং আত্মরক্ষার কৌশল জানতে পারবে। আমি এর আগে ৪০টির মতো ছবি বানিয়েছি, সবগুলো ভালো চলেছিল।
মার্শাল অার্টে গ্র্যান্ড মাস্টার পেয়েছিলেন ওস্তাদ জাহাঙ্গীর অালম। তার মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে মার্শাল আর্ট ছবি প্রতিষ্ঠিত ও তুমুল জনপ্রিয় হয়। বলা বাহুল্য, ওস্তাদ জাহাঙ্গীর অালমের হাত উঠে রুবেল, ইলিয়াস কোবরা, ড্যানি সিডাক, শাহিন অালম চলচ্চিত্রে মার্শাল আর্টের ব্যবহার শুরু করেন।
চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে বেশ কয়েকবছর আমেরিকা ছিলেন ওস্তাদ জাহাঙ্গীর অালম। এরপর দেশে ফিরে রিসোর্ট ব্যবসা শুরু করেন, নাম ওস্তাদ জাহাঙ্গীর রিসোর্ট। পাশাপাশি জাতীয় মার্শাল আর্টের জাতীয় প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। সারাদেশে ৪০০-৫০০ মার্শাল আর্ট ক্লাব রয়েছে। সেখানে তিনি দেখভাল করেন, ট্রেনিং প্রদান করেন। এছাড়া চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত)।