একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে নিরীহ মানুষের। সম্প্রতি যোগ হয়েছে ‘ছেলেধরা’ আতঙ্ক। যার জেরে এরইমধ্যে গণপিটুনিতেই প্রাণ গেছে একাধিক নারী-পুরুষের। জনসম্মুখে শত শত মানুষের সামনে ঘটনাগুলো ঘটলেও নির্বিকার সবাই। শুধু তাই না, ভিক্টিমকে বাঁচানো কিংবা প্রতিবাদের চেষ্টা না করে বরং অতি উৎসাহি মানুষ সেই নৃশংসতম ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করতে উঠে পড়ে লাগেন। যার কিছু চিত্র দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। সম্প্রতি ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুর গণপিটুনি দেয়ার সময়ও একই ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এমন ঘটনাকে অনেকেই তথ্য প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট সেবার নেতিবাচক দিক বলে উল্লেখ করেছেন। অভিনেত্রী শাহনাজ খুশীকেও এ বিষয়টি ছুঁয়ে গেছে। রেনু হত্যা নিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। যা ‘তারকা কথন’-এ হুবুহু তুলে ধরা হলো:
আমাদের অনেক যত্ন আর স্বপ্নে গড়া, আবেগী তরুণ ইন্টানেট প্রজন্ম! মাত্র কয়েক টাকা দিয়ে দুনিয়াটা হাতে করে দেখে কর্ম/লেখাপড়া/ নানান জ্ঞান-বিজ্ঞান নিয়ে আলোকিত হবে যে ইন্টানেট(ফোন) দিয়ে, সেটার দরদী ব্যবহার!
পেছনে ফিরতে ইচ্ছা করছে খুব! লন্ঠণ জ্বেলে এক চৌকিতে বসে সব ভাইবোন, এক সাথে পড়া শোনা করা, টিফিন ছিল না কোনো, ছুটিতে একবারে এসে ভাত খাওয়া, ঈদ ছাড়া কোনো নতুন কাপড় ছিল না, পিঠা বানালে, আগে প্রতিবেশীর চাচীদের বাড়ী দিয়ে এসে তবে খাওয়া। উঠোনে উঠোনে গল্প বলার উৎসব! অনেক অভাব ছিল, কিন্তু মানবিকতার চাদরে আদর ভরে মোড়া ছিল সেদিন! এ কেমন আধুনিকতা! যে প্রত্যেক দিনরাত/পথ/ট্রেন বাস/লন্চ সব জায়গায় শঙ্কিত থাকতে হবে? ঘর থেকে বের হওয়া মানুষটা ঘরে না ফেরা পর্যন্ত আতঙ্ক কাটে না? আমরা কি মানুষ হচ্ছি? নাকি মানুষের খোলসে দানব পালছি রোজ?