দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ছেই। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি এসব কিছুই আটকাতে পারছে না জিডিপি’র রকেট। গত ৯ মাসে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ২শ’ ৩৩ ডলার, প্রায় ২২ হাজার টাকা।
পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, প্রতি নাগরিকের বার্ষিক আয় কমপক্ষে ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৭০ টাকা। একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, জিডিপি বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৭.২৫ শতাংশ। এই সময়ে ৪৯ বিলিয়ন বেড়ে জিডিপি’র আকার হয়েছে ৪শ’ ৬৫ বিলিয়ন ডলার।
২০২০ সালের মার্চে উচ্চহারে করোনা সংক্রমণের সময়টা বাদ দিলে জিডিপি বৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশের আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিশ্বজুড়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির ভীড়েও পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে অর্থনীতি বেড়েছিল ৩.৪৫% হারে। পরের বছর ৬.৯৪%, আর এবার ৯ মাসের হিসাব দিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বলছে জিডিপি বাড়ছে ৭.২৫% হারে। চারদিকে এতো এতো অনিশ্চয়তার মাঝেও বাংলাদেশের এমন উন্নতির রহস্য কি, খোলাসা করলেন নীতিনির্ধারকেরা।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো হয়েছে অর্থনীতিতে এই অসামান্য সাফল্য। করোনা মোকাবেলা এবং পরবর্তী পুনরুদ্ধারে ১২১টি দেশের মধ্যে ৫ম হওয়ায় বাংলাদেশের জন্য অনেক কাজ সহজ হয়ে যাচ্ছে বলে মনে সরকার।
একনেক বৈঠকে ৫ হাজার ৮শ’ ২৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এর মধ্যে ৮টিই নতুন প্রকল্প।