বাংলাদেশের রেকর্ড অনুযায়ী প্রিম্যাচিউরভাবে জন্ম নেওয়া সর্বকনিষ্ঠ শিশুকে ৩ মাস ইনটেনসিভ এবং নিউন্যাটাল কেয়ারে রাখার পর অবশেষে সুস্থভাবে বাড়িতে পাঠিয়েছে এভারকেয়ারের নিউন্যাটাল ইউনিটের চিকিৎসকরা।
এই ইউনিটের নেতৃত্বে ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার নিউন্যাটোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট, পেডিয়াট্রিকস অ্যান্ড নিউন্যাটোলজি এবং নিউন্যাটাল ইনটেনসিভিস্ট, কোঅর্ডিনেটর আবু ডা. সাইদ মোহাম্মদ ইকবাল।
মাত্র ৭৫০ গ্রাম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া এই নবজাতকের নিউন্যাটাল পিরিয়ডটি ছিল অনেক কঠিন । বাচ্চাটির মায়ের প্রিম্যাচিউর লেবার, উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তক্ষরণের ফলে এই ডেলিভারিটি করেন হসপিটালের অবসটেট্রিকস অ্যান্ড গাইনোকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অ্যান্ড কোঅর্ডিনেটর ডা. মনোয়ারা বেগম।
ডা. ইকবাল বলেন, ‘‘১৫-২০ বছর আগেও যা সম্ভব ছিল না, আজকের দিনে তা অ্যাডভান্সড নিউন্যাটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, অভিজ্ঞ নিউন্যাটোলজিস্ট টিম, কার্ডিয়াক মনিটরিং, আধুনিক প্রযুক্তি, যথাযথ সাপোর্ট ও অ্যাডভান্সড মেডিকেল সুবিধাসমূহের কারণে সম্ভব। সমস্ত সাপোর্টিং ডিপার্টমেন্ট ও স্টাফদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায় আমাদের নিউন্যাটাল টিম; এটি এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার টিমওয়ার্ক ও পেশাদারিত্বের একটি অনন্য অর্জন।”
ইউসিফের মতে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুহার হ্রাস করে, সময়ের চেয়ে ৪ বছর আগেই গ্লোবাল টার্গেট পূরণ করে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
তবে বাংলাদেশে মারা যাওয়া নবজাতকের সংখ্যা এখনও প্রতি বছরে ৬২ হাজারের বেশি, যা বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ হারগুলোর মধ্যে অন্যতম; যার মধ্যে অর্ধেক মৃত্যুই ঘটে জন্মের প্রথম দিনে এবং বাকি অর্ধেক ঘটে জন্মের প্রথম মাসের মধ্যে।
তবে এখনও জন্মহার উদ্বেগজনকভাবে বেশি, যা সংখ্যায় প্রতিদিন প্রায় ২৩০। তবে, অনেক কেসই কখনো রেকর্ডভুক্ত হয় না এবং প্রাণহানির পেছনে থাকা অনেক কারণই অজানা থেকে যায়।
এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকায় এর আগেও, মাত্র ৫৯০ গ্রাম ওজন নিয়ে এক নবজাতকও এই হাসপাতালে জন্ম নিয়েছিল এবং সে সুস্থতার সাথে বেঁচে যায়, যা রেকর্ড অনুযায়ী বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠদের মধ্যে ছিল অন্যতম।