সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিনের কুলখানিতে পদদলিতের ঘটনায় মেট্রোপলিটন পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট রাত ১১টায় প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা, কমিউনিটি সেন্টারের প্রবেশপথের নির্মাণ ত্রুটি, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন না করা এবং কুলখানিতে আসা লোকজনের সচেতনতার অভাব কে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি।
১৮ ডিসেম্বর সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে চট্টগ্রামের আসকার দীঘিতে রিমা কমিউনিটি সেন্টারে পদদলিত হয়ে সুবীর দাস, দীপঙ্কর রাহুল দাস, আশিস বড়ুয়া, রীবন দাস, উজ্জ্বল চৌধুরী, প্রদীপ তালুকদার, ঝন্টু দাস, কৃষ্ণপদ দাস ও লিটন দেবসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় প্রায় অর্ধশতাধিক। সেখানে কুলখানি উপলক্ষে মুসলিম ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য মেজবানের আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান অতিরিক্ত ভিড়ে কার আগে কে ঢুকবে এরকম হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় এবং মাত্র কয়েক মিনিটে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ওই আয়োজনে নিরাপত্তার কমতি ছিল না। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
গত ১৪ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে বন্দর নগরীর মেহেদীবাগের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।