প্রকৃতিতে চলছে শরৎকাল। আগেকার আমলে রাজ-রাজরারা শরতে মৃগয়ায় বের হতো। আমি তো রাজ-রাজরাকূলের কেউ নই। ‘সৌন্দর্য-পিয়াসী’ এক সাধারণ নাগরিক মাত্র। এই শরতে আমি বের হয়েছিলাম ‘পূণ্যভূমি’ সিলেটে। আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু আতিক সরকারি চাকরিসূত্রে সিলেটে থাকে। বহুদিন দেখা হয় না। যখনই আতিকের সঙ্গে কথা হয়, তখনই সে সিলেটে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়।
এবার আতিকের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আমরা মোট তিনজন গত ৭ অক্টোবর কলাবাগান থেকে রাতের গাড়িতে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হই। জানলার ফাঁক দিয়ে চোখে পড়ে নির্জন মাঠে নিঃশব্দে বেড়ে ওঠে নিকট ভবিষ্যতের আমন। ক্ষণে ক্ষণে ভেসে আসে ঢাকের শব্দ। সেদিন ছিল দুর্গাপূজার নবমীর রাত। পরদিন দশমী। পথে আলোকসজ্জিত কিছু মণ্ডপও চোখে পড়ে। নিস্তব্ধ রাতে রাস্তার দুধারের খালের জলে শাপলা-শালুকরা পৃথিবীর মোহমায়ায় পাপড়ির ভাঁজ খুলে নিঃসঙ্গ ভেসে আছে। আবছা অন্ধকারে ঢাকা খালের জল একেবারেই স্থির, নিশ্চুপ। যেন ভোরের অপেক্ষায় সে অনন্তকাল ধরে অপেক্ষমান। প্রায় মধ্যরাতে ‘উজান-ভাটি’ নামক রেস্তারাঁয় যাত্রা বিরতির সময় গাড়ি থেকে নেমে আকাশের দিক তাকিয়ে দেখি নীলাকাশ জুড়ে সাদা মেঘের ওড়াউড়ি। শরতের আকাশ কখনও ধোয়া-মোছা, পরিচ্ছন্ন হয় না। সে তার নীলচে বুক ছেঁড়া মেঘের আবরণে ঢেকে রাখতে চায়। সাদা সাদা মেঘগুলো যেন একেকটি নাটাই-সুতাহীন ঘুড়ি, স্বাধীনভাবে উড়ে বেড়াচ্ছে আকাশময়। খানিকক্ষণ আকাশ দেখার পর সেই মধ্যরাতে হোটেলের সবজি আর পরোটা খেয়ে আবার বাসে উঠে বসি।
বাসের দুলুনিতে যখন তন্দ্রাচ্ছন্ন, তখনই সুপারভাইজারের কণ্ঠ: যারা হুমায়ুন রশীদ চত্বরে নামবেন, তারা তৈরি হন। তার মানে আমরা সিলেট পৌঁছে গেছি! আমরা লকার থেকে লাগেজ নিয়ে রওনা হই উপশহরের দিকে, আতিকের অফিসে। ওর অফিসেই একটা গেস্টরুম আছে। আমাদের থাকার ব্যবস্থা সেখানেই। একটি সিএনজি অটোরিক্সায় চেপে সকাল সাতটায় আমরা সেখানে পৌঁছে যাই। এরপর স্নানাহার শেষ করে আটটার মধ্যে তৈরি হয়ে যাই দিনের যাত্রা শুরু করার জন্য। ইতিমধ্যে সপরিবারে আতিক চলে এসেছে। আতিকের এক বন্ধুও সপরিবারে এই যাত্রায় অংশ নেয়। দুটো নিশান গাড়িতে আমরা ভাগাভাগি করে রওনা হই। আমাদের গন্তব্য: ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর।
আমাদের ভ্রমণের প্রথম দিনেই সাদাপাথর যাবার সিদ্ধান্তটা আতিকের। সত্যি বলতে কি, এর আগে আমি এই জায়গাটার নাম শুনিনি। জায়গাটা কেমন হবে, সারারাত জার্নি করে এসে এমন একটা জায়গায় যাওয়াটা সঠিক সিদ্ধান্ত কিনা-এসব নিয়ে মনের মধ্যে এক ধরনের খুঁত-খুতানি ছিল। তারপরও একটা হাসি-হাসি ভাব নিয়ে যাত্রা শুরু করি!
আমাদের যাত্রা শুরুর মুহূর্তেই শুরু হয় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। পুরো আকাশ মেঘে ছাওয়া। মনে হচ্ছিল, সারাদিনই বুঝি বৃষ্টি হবে। যদিও মিনিট দশেকের মধ্যেই বৃষ্টি লা-পাত্তা হয়ে গেল!
আমরা কথা বলতে বলতে এগিয়ে চলছি ভোলাগঞ্জের দিকে। সিলেট নগরের আম্বরখানা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কটির চারপাশে শুধু সবুজ চা বাগান। সদ্য বৃষ্টিস্নাত এই বাগানগুলো দেখলে মনে হয় নীল আকাশ যেন সবুজ গালিচার ওপর তাঁবু টানিয়েছে। সড়কটি ধরে চলতে চলতে সৌন্দর্যে বিমোহিত হয় মন। দুহাতে প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে আলিঙ্গন করতে ইচ্ছে হয়। মনে হয়, যদি পায়ে হেঁটে এই পথ পাড়ি দেওয়া যেত। থেমে থেমে দুচোখ ভরে উপভোগ করার মতো প্রকৃতির এই অপরূপ রূপ!
চলতে চলতে চোখে পড়ল সড়কের ধারে বিশাল এলাকা জুড়ে নির্মাণাধীন সিলেট ইপিজেড। সৌন্দর্যমণ্ডিত নদী-খাল-পাহাড়-সবুজ অতিক্রম করে প্রায় দুই ঘণ্টা লাগল ভোলাগঞ্জ পৌঁছতে। সড়কের কিছু যায়গায় সংস্কার কাজ চলায় আমরা পূর্ণ গতিতে যেতে পারিনি। বেশ খানিকটা জায়গা অত্যন্ত ধীরে যেতে হয়েছে।
আমরা ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট যাওয়ার ফেরিঘাটে নেমে প্রথমেই চা খেয়ে নিলাম। এরপর নৌকা ভাড়া করে মূল গন্তব্য সাদাপাথরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করি।
উল্লেখ্য, ভোলাগঞ্জ সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানিগঞ্জে অবস্থিত। এর এক পাশে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উঁচু উঁচু পাহাড়। সেই পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণার পানির প্রবাহ ধলাই নদের উৎস। এই নদের উৎস মুখের পাথরের জায়গাটুকু ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট বা ‘সাদা পাথর’ নামে পরিচিত।
নৌকা যত সামনে এগোয়, মুগ্ধতা ততই বাড়তে থাকে। ধলাই নদের স্বচ্ছ নীল জলে নৌকা চলতে চলতে চোখে পড়ে মেঘালয়ের আকাশছোঁয়া পাহাড়। আমাদের সামনে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়। এই পর্বতমালার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিমোহিত আমরা। শান্ত স্তব্ধ পাহাড়, তার সঙ্গে মিশেছে আকাশের নীল। আকাশের গায়ে ছোপছাপ শরতের শ্বেতশুভ্র মেঘ। আমাদের ট্রলার এগিয়ে চলেছে প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আকাশে হেলানো উঁচু উঁচু পাহাড়ের সারি দেখে অজান্তেই গুনগুনিয়ে গেয়ে উঠি: আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ওই!
নদীর এক ধারে চোখে পড়ে রোপওয়ের কাৎ হয়ে যাওয়া একটা বিশাল টাওয়ার। এই রোপওয়েটি এখন আর ব্যবহৃত হয় না। এক সময় প্রতিবছর বর্ষাকালে মেঘালয়ের খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে নেমে আসা জলের সঙ্গে ধলাই নদীতে প্রচুর পাথরও নেমে আসতো। ধলাই নদীর তলদেশেও রয়েছে পাথরের বিপুল মজুদ। এই পাথর দিয়ে পঞ্চাশ বছর চালানো যাবে- এই হিসাব ধরে ১৯৬৪-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত সময়ে সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে প্রকল্প। বৃটিশ রোপওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। প্রকল্পের আওতায় ভোলাগঞ্জ থেকে ছাতক পর্যন্ত সোয়া ১১ মাইল দীর্ঘ রোপওয়ের জন্য নির্মাণ করা হয় ১২০টি টাওয়ার এক্সক্যাভেশন প্ল্যান্ট। মধ্যখানে চারটি সাব স্টেশন। দুই প্রান্তে ডিজেল চালিত দুটি ইলেকটৃক পাওয়ার হাউস, ভোলাগঞ্জে রেলওয়ে কলোনী, স্কুল, মসজিদ ও রেস্ট হাউস নির্মাণও প্রকল্পের আওতাভুক্ত ছিল। এক্সক্যাভেশন প্ল্যান্টের সাহায্যে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাথর উত্তোলন করা হলেও বর্তমানে এ পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। তারপর থেকেই এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।
কিছুটা বিসদৃশ এই রোপওয়ের টাওয়ার ছাড়া এখানকার সব কিছুই অত্যন্ত সুন্দর। চারপাশের চোখধাঁধানো সব দৃশ্য দেখতে দেখতে ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাই নদের উৎসমুখে। নৌকা থেকে তীরে নামতেই চোখ আটকে যায় পাথরের স্তূপে। পাথরগুলো সব সাদা। ছোট, মাঝারি, বোল্ডার আকৃতির পাথর। সাদার মধ্যে নিকষ কালো পাথরও আছে। কোনোটি খয়েরি। যেন এলাকাজুড়ে পাথরের বিছানা।
ধলাই নদীর মনোলোভা রূপ, সবুজ পাহাড় বন্দী এলাকা জুড়ে অজস্র সাদা পাথর, আকাশের নীল ছায়া রেখে যায় পাথরে জমে থাকা স্ফটিক জলে। দূরের পাহাড়গুলোর উপর মেঘের ছড়াছড়ি, সঙ্গে একটা দুটো ঝর্ণার গড়িয়ে পড়া। নদীর টলমলে হাঁটু জলের তলায় বালুর গালিচা। চিক চিক করা রূপালী বালু আর ছোট বড় সাদা অসংখ্য পাথর মিলে এ যেন এক পাথরের রাজ্য। প্রকৃতির খেয়ালে গড়া নিখুঁত ছবির মত সুন্দর এই জায়গাটির স্বার্থক নামকরণ হয়েছে। ভোলাগঞ্জ! সত্যি এখানে এলে সব কিছুই ভুলে যেতে হয়। সমাজ-সংসার সব কিছু তুচ্ছ মনে হয়। অনন্তকাল নদীর স্বচ্ছ জলে গা ভিজিয়ে শুয়ে শুয়ে সবুজ পাহাড়ের মায়াবী রূপ দেখতে ইচ্ছে হয়!
পাথর মাড়িয়ে ঝরনার আবাহন। কোথাও হাঁটু সমান, আবার কোথাও কোমর সমান জল। কোথাও তারও অনেক বেশি। পাথরের ওপর দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে তৃষ্ণার্ত ধলাইয়ের মুখে। ধলাইয়ের বুকে সেই জলে নেমে নিজেকে শীতল করি। কিছুক্ষণ গা ভেজানোর পর শরীরে শীতের কাঁপন লেগে যায়।
এখানে গিয়ে আমাদের দশজনের দলটি যেন হারিয়ে যায়। আমরা একসঙ্গে থেকেও প্রত্যেকে আলাদা। সবাই যে যার মতো করে সৌন্দর্য আস্বাদনে ব্যস্ত হয়ে পড়ি।
একটি বড় সাদা পাথরে বসে আমি চারদিকে পরিবেশ দেখতে থাকি। পায়ের নীচে শীতল জল এক অসাধারণ প্রশান্তি যুগিয়ে যায়। একই সঙ্গে পাহাড়ের সবুজ সৌম্য রূপ, আকাশের সাজ, নদীর উচ্ছলতা, বাতাসের চঞ্চলতা, মেঘেদের রঙ বদলের খেলা আগে কখনও দেখেছি বলে মনে পড়ে না।
মাথার উপরে নীলাকাশ। তার মাঝে মেঘের পানসিগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে। মেঘগুলো একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলেছে। ভাসতে ভাসতে মেঘের দল জাপটে ধরছে পাহাড়ের গায়ে সেঁটে থাকা সারি সারি গাছেদের শরীর।
না, আমি পাহাড় চূড়ায় উঠতে পারিনি, মেঘেদের সঙ্গে ভেসে বেড়াতে পারিনি, বাতাসের সঙ্গেও কোথাও উড়ে চলে যাইনি, আকাশে নীলে হারাতে পারিনি আর এই স্বচ্ছজলের সঙ্গেও ভেসে যেতে পারিনি। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমি এখানে বসে বসে এর সব গুলোই চেয়েছিলাম। যেন আমাকে স্বপ্নে পেয়ে বসেছিল। নদীর উৎসমুখের দিকে তাকিয়ে পাথরের মাঝে বাঁধা পেয়ে ছুটে চলা নদীর কলরবে কান পেতে ছিলাম। কখনো কখনো শুনছিলাম পাহাড় থেকে নেমে আশা সুখের ঝর্ণাধারার গান!
কয়েক ঘণ্টা দারুণ সুখের সময়ের ভেলায় আনমনা সাঁতার কাটতে কাটতে কখন দুপুর গড়িয়ে গেছে আমরা কেউই টের পাইনি!
কিন্তু এক সময় আমাদের ঠিকই বাস্তবে ফিরে আসতে হয়। এই অসম্ভব সুন্দরকে বিদায় জানিয়ে ফেরার পথ ধরতে হয়। সাদা পাথর যে এত অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি- তা এখানে না গেলে জানতাম না। আমরা মিছেই জাফলং, বিছানাকান্দির সৌন্দর্য নিয়ে মাতামাতি করি। আমার বিবেচনায় ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর যেকোনো বিবেচনাতেই ওগুলোর চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর। মনে মনে আতিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
নৌকায় যখন তীরের দিকে ফিরছিলাম, তখন মনে পড়ছিল কবিগুরুর একটি কবিতা: ‘পাহাড়ের নীলে আর দিগন্তের নীলে/শূন্যে আর ধরাতলে মন্ত্র বাঁধে ছন্দে আর মিলে।/বনেরে করায় স্নান শরতের রৌদ্রের সোনালি।/হলদে ফুলের গুচ্ছে মধু খোঁজে বেগুনি মৌমাছি।/মাঝখানে আমি আছি,/চৌদিকে আকাশ তাই দিতেছে নিঃশব্দ করতালি।/আমার আনন্দে আজ একাকার ধ্বনি আর রঙ,/জানে তা কি এ কালিম্পঙ।’
কবিগুরু এখানে এলেও সম্ভবত এই কবিতাটিই লিখতেন, শুধু কালিম্পঙের জায়গায় ভোলাগঞ্জ লিখতেন!
ভোলাগঞ্জ যাবার সবচেয়ে ভাল সময় হচ্ছে বর্ষাকাল ও তার পরবর্তী কিছু মাস অর্থাৎ জুন থেকে সেপ্টেম্বর এই সময় যাওয়ার জন্যে সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
অন্যসময় গেলে সেখানে পাথরের সৌন্দর্য দেখতে পেলেও নদীতে বা ছড়ায় পানির পরিমাণ কম থাকবে।
সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। দেশের যেখান থেকেই ভোলাগঞ্জ যেতে চান আপনাকে প্রথমে সিলেট শহরে আসতে হবে। সিলেট থেকে সিএনজি, লেগুনা বা প্রাইভেট কারে করে যাওয়া যায় ভোলাগঞ্জ। বর্তমানে অল্প একটু জায়গা ছাড়া রাস্তার অবস্থা অনেক ভালো।
সিলেটের আম্বরখানা থেকে ভোলাগঞ্জ যাবার সিএনজি পাওয়া যায়। লোকাল সিএনজি তে করে জনপ্রতি ভাড়া ১৩০-১৫০ টাকা ভাড়ায় ভোলাগঞ্জ যেতে পারবেন। চাইলে রিজার্ভও যাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে যাওয়া আসা মিলে ১২০০-১৩০০ টাকা। এক সিএনজিতে ৫ জন বসা যায়। ভোলাগঞ্জ বাজারে নেমে দশ নম্বর নৌকা ঘাটে যেতে হবে। নৌকা ঘাট থেকে যাওয়া ও আসা সহ ৮০০ টাকা নৌকা ভাড়ায় ঘুরে আসতে পারবেন সাদা পাথর। প্রতি নৌকায় সর্বোচ্চ ১০ জন যেতে পারবেন।
চাইলে সরাসরি মাইক্রো বা কার রিজার্ভ করেও যেতে পারেন ভোলাগঞ্জ দশ নম্বর। এক্ষেত্রে খরচ হবে ২৫০০-৩০০০ টাকা।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)