সামনের সোমবার হয়তো ব্যালন ডি’অরটা হাতে উঠতে পারে লুকা মদ্রিচেরই। কিন্তু সবকিছুর মতো ফর্মেরও শেষ আছে। রিয়াল মাদ্রিদের সেটা ভালোই জানা। সেজন্য আগেভাগেই ক্রোয়েট তারকার বিকল্প খোঁজা শুরু করেছে বার্নাব্যুর দলটি।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুভেন্টাসে পাড়ি জমানোর পর মদ্রিচই এখন রিয়ালের বড় তারকা। টানা দশ বছর ধরে চলা মেসি-রোনালদোর আধিপত্য ভেঙ্গে হয়েছেন ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার। সোমবার ইউরোপ সেরার ট্রফি ব্যালন ডি’অরও উঠতে পারে তার হাতে।
কিন্তু ৩৩ বছরে এসে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে রঙিন সময় কাটানো ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার এখন থেকেই শুনতে পাচ্ছেন শেষের ডাক। টানা তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর দুঃসময় পার করা রিয়ালের কর্মকর্তাদের ভাবনায়ও সেই বিষয়টি।
রোনালদোর যোগ্য বিকল্প খুঁজে না পাওয়ায় বেশ ভুগছে রিয়াল। নেইমার, অ্যান্টনিও গ্রিজম্যান কিংবা কাইলিয়ান এমবাপের পেছনে ছোটাই সার হয়েছে দলটির জন্য। তার উপর ঘাড়ে চেপে বসেছে মদ্রিচের বিকল্পের চিন্তা।
কেবল মদ্রিচই নন। রিয়ালের মেরদণ্ড যারা সেই সার্জিও রামোস, মার্সেলো, করিম বেনজেমা; সবারই বয়স ত্রিশ ছাড়িয়েছে। তাদেরও যোগ্য বিকল্প দরকার।
বিষয়গুলো মাথায় রেখে আলভারো অদ্রিওজোলা, দানি সেবোয়াসদের মতো তরুণদের দলে টেনেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। কিন্তু অভিজ্ঞতার একটা অভাব থেকেই যাচ্ছে। বয়স ও অভিজ্ঞতার বিষয়টি বিবেচনা রেখে মদ্রিচের বিকল্প হিসেবে টটেনহ্যাম হটস্পারের মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনকে মনে ধরেছে রিয়ালের। ডেনিশ মিডফিল্ডারের জন্য যে দাম হাঁকিয়েছে টটেনহ্যাম, তাতে অবশ্য চোখ কপালে ওঠার দশা ইউরোপ সেরা ক্লাবটির!
টটেনহ্যাম থেকে এর আগে মদ্রিচ ও গ্যারেথ বেলকে মাদ্রিদে এনেছিল রিয়াল। এ দুই খেলোয়াড়ের জন্য যথাক্রমে ৩৫ ও ১০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছিল দলটি। নিজেদের সেরা খেলোয়াড়দের রিয়ালের মতো বড় ক্লাবের থাবা থেকে রক্ষা করতে তাই কৌশল অবলম্বন করেছে টটেনহ্যাম। এরিকসেনের জন্য তারা দাম চেয়েছে ২৫০ মিলিয়ন ইউরো!
রিয়ালের জন্য খুশির খবর এই, ২০২০ সাল পর্যন্ত টটেনহ্যামের সঙ্গে চুক্তি আছে এরিকসেনের। খুব যত্নের সঙ্গে তাই ডেনিশ তারকার দিকে নজর রাখছে ক্লাবটি। চুক্তি নবায়ন না হলে কোনপ্রকার ট্রান্সফার ফী ছাড়াই এরিকসেনকে নিয়ে আসতে পারবে রিয়াল!