দেশের সর্ববৃহৎ সিনেমা হল মনিহার অবস্থিত যশোর জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে। সেখানে এবার ঈদ উপলক্ষে প্রদর্শিত হয়েছে ‘সুপার হিরো’ ছবিটি।
মুক্তির প্রথম সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাত্র ৬ দিনে হল থেকে ‘সুপার হিরো’ ১০ লাখ টাকার বেশি ব্যবসা করেছে।
যেটিকে ছবির জন্য ‘শুভ লক্ষণ’ বলে মনে করছেন, ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই হলটির ব্যবস্থাপক ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন। চ্যানেল আই অনলাইনকে শুক্রবার দুপুরে তিনি বলেন, বিশ্বকাপ ফুটবল এবার অনেক ক্ষতি করে দিয়েছে।
সন্ধ্যা ও রাতের শোতে মানুষ আসতেই চায় না! তারপরেও শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার এই ক’দিনে ১০ লাখ টাকার বেশি ব্যবসা করেছে ‘সুপার হিরো’।
তিনি বলেন, এই সময়ে এসেও এমন সেল, এটা আমাদের ব্যবসায়িক দিক দিয়ে খুবই ভালো। আর এ কারণে দু-সপ্তাহ চালাবো ‘সুপার হিরো’। দর্শকদের আগ্রহ থাকলে তো পরেও চলবে। ঈদ শেষে যশোরে মানুষ আসতে শুরু করেছে।
বিশেষ করে শহরের অনেক শিক্ষার্থী আসেন ছবি দেখতে। তারাও ফিরতে শুরু করেছে। সবমিলিয়ে এ সপ্তাহেও ভালো যাবে আশা করছি।
‘সুপার হিরো’ ছবির প্রযোজক তাপসী ফারুকও একই কথা বললেন। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি জানান, ঢাকার বাইরে যেসব হলে ছবি দিয়েছি তারমধ্যে মণিহারে খুব ভালো গেছে ‘সুপার হিরো’। সপ্তাহ শেষের আগেই ১০ লাখ টাকার বেশি আয় করেছে।
তিনি বলেন, মণিহারের পর জয়পুরহাটের একটি হলেও বুধবারের শো-ও হাউজফুল গেছে। সবকিছুই ঠিক ছিল, কিন্তু ফুটবল বিশ্বকাপ বাগড়া দিচ্ছে।
প্রযোজক তাপসী ফারুক জানান, ‘সুপার হিরো’ মুক্তির পরিকল্পনা ছিল ১৬০ সিনেমা হলে। শেষ সময়ে সেন্সর পাওয়ায় ৮০ হলে মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়েছে। প্রথম সপ্তাহে ভালো ব্যবসার পর দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন করে ৩ টি হলে মুক্তি দেয়া হচ্ছে।
হল তিনটি হচ্ছে, ঢাকার সনি সিনেমা হল, যমুনার ব্লক বাস্টার সিনেমায় এবং বি. বাড়িয়ার শিলা-মিলন। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহে ৮৩ হলে চলছে ‘সুপার হিরো’।
শোনা গিয়েছিল, দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে নাকি ১০০ হলে চলবে ‘সুপার হিরো’? তাপসী ফারুক বলেন, ঈদের ছবি একসাথে দুই সপ্তাহে চলে। সেই হিসেবে করে ছবি দিয়েছি সবগুলো হলে।
২৯ তারিখ মানে তৃতীয় সপ্তাহে বাকি যে হলগুলো বুকিং দেয়া ছিল সেগুলোতে চালানো হবে। তখন একশোর বেশি হলে চলবে। কারণ, এই ছবি নিয়ে দর্শক ও হল মালিকদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
‘সুপার হিরো’ ছবিতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, শবনম বুবলী, টাইগার রবি, তারিক আনাম খান, শম্পা রেজা প্রমুখ। ছবিটি নির্মাণ করেছেন আশিকুর রহমান।
এদিকে, ঈদের অন্যান্য ছবির মধ্যে চিটাগাংইয়্যা পোয়া নোয়াখাইল্ল্যা মাইয়া দ্বিতীয় সপ্তাহে চলছে ১৩৩ হলে। মুক্তি পেয়েছিল ১৩৪ হলে। এছাড়া ‘পোড়ামন ২’ মুক্তি পেয়েছিল ২২ হলে। এ সপ্তাহেও হল সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরেক ছবি ‘পাংকু জামাই’ ৩৭ টি হলে মুক্তি পেলেও দ্বিতীয় সপ্তাহে হল সংখ্যা কমে গেছে। হল মালিকদের দাবি, মানহীন ও নির্মাণে অসম্পূর্ণ এই ছবিটি দর্শক গ্রহণ করেননি। বিস্তারিত জানার জন্য এর প্রযোজক ও পরিচালককে একাধিকবার ফোন করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি ‘কমলা রকেট’ও সুপার হিরোর মতো প্রায় অপরিবর্তিত। প্রথম সপ্তাহে রাজধানীর তিনটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিলো ছবিটি। দ্বিতীয় সপ্তাহেও ছবিটি তিনটি প্রেক্ষাগৃহে চলছে।