অভিষেক টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন ২১ বছরের এনগিদি। ভয়ঙ্কর এক ইনকাটারে যেভাবে বিরাট কোহলিকে এলবিডব্লিউ বানিয়েছেন তা অনেক বছর মনে রাখবেন এই তরুণ। চতুর্থদিন শেষে তিন উইকেট হারিয়ে টিম ইন্ডিয়ার সংগ্রহ ৩৫। কোহলি ছাড়া লোকেশ রাহুলকেও ফেরান ওই এনগিদি। শেষদিন জয়ের জন্য ভারতের দরকার ২৫২।
এনগিদি এদিন নতুন বলে ভেতরে-বাইরে মুভ করাতে থাকেন। তার সঙ্গে মিশিয়ে দেন প্রায় ১৪০ কিলোমিটারের বাউন্স। কখনো স্লোয়ার। বিশেষ করে তার সহজাত ইনকাটার খেলতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যানরা। ১৬তম ওভারের তেমনি একটি বলে বিরাট কোহলি আচমকা ভড়কে যান। অফস্টাম্পের অনেক বাইরে পিচ করে বিষাক্ত বাউন্সার ভেতরে ঢুকে আসে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি প্রথম ইনিংসে দেড় শতাধিক রান করা ভারতীয় অধিনায়ক। ২০ বলে পাঁচ করে ফেরেন।
প্রথম টেস্ট হারার পর দ্বিতীয় টেস্টে কোহলির দাপটে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল ভারত। সেঞ্চুরিয়ানে টস হেরে আগে বল করতে নামে তারা। মার্করাম (৯৪), হাশিম আমলা (৮২) এবং প্লেসিসের (৬৩) ব্যাটে ৩৩৫ রান সংগ্রহ করে সাউথ আফ্রিকা। চার উইকেট নিয়েছিলেন অশ্বিন। ইশান্ত শর্মা তিনটি।
জবাব দিতে নেমে কোহলি (১৫২) আর মুরালি বিজয় (৪৬) ছাড়া ভারতের আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। দলটি গুটিয়ে যায় ৩০৭ রানে। চার উইকেট নিয়েছিলেন মরকেল। ওই ইনিংসে এনগিদি ১৪ ওভার বল করে ১ উইকেট পান।
লিড নিয়ে ব্যাট করতে নেমে সাউথ আফ্রিকার এলগার (৬১), ভিলিয়ার্স (৮০) এবং প্লেসিস (৪৮) দলকে ২৫৮ পর্যন্ত নিয়ে যান। প্রথম ইনিংসের লিডসহ জয়ের জন্য ভারতের টার্গেট দাঁড়ায় ২৮৭।
সাউথ আফ্রিকাকে অলআউট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মোহাম্মদ সামি এবং বুমরাহ। দুজনে যথাক্রমে চারটি এবং তিনটি উইকেট নেন। ইশান্ত শর্মা নেন দুটি।
ভারত ব্যাট করতে নেমে অষ্টম ওভারে ধাক্কা খায়। বিজয়কে (৯) বোল্ড করেন রাবাদা। এরপর এনগিদির ভয়ঙ্কর সব ডেলিভারিতে বিপর্যস্ত হয় সফরকারী দল। শেষ বিকেলে হাতেপায়ে লাগিয়ে কোনোমতে দিন পার করেন পার্থিব প্যাটেল (৫) এবং পূজারা (১১)।